নিজস্ব প্রতিবেদক, অধিকারপত্র ডটকম:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম মন্তব্য করেছেন যে, জুলাই অভ্যুত্থানের রাষ্ট্র কর্তৃক আইনী ভিত্তি বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের মাধ্যমেই জনগণের স্বীকৃতি নিতে হবে। তিনি আগে গণভোট, পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান।
ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ (এনসিবি) আয়োজিত 'গণভোট, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জনগণের প্রত্যাশা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের একটি আইনী ভিত্তি দরকার।
তাই গণভোটের মাধ্যমে জনগণকে অবগত করতে হবে।
ক্ষমতায় গেলে সম্প্রীতির আশ্বাস
আব্দুল হালিম বলেন, জামায়াতে ইসলামী যদি ক্ষমতায় যায়, তবে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকার রক্ষা করা হবে। তিনি আশ্বাস দেন, "ন্যায় বিচার ও আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে। হিংসা মুক্ত ও নৈতিকতার ভিত্তিতে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ।"
এনসিবি'র সভাপতির বক্তব্য
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এনসিবি'র চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রনেতা কাজী ছাব্বীর বলেন, দেশের ইনসাফ কায়েমের জন্য একটি সুষ্ঠু সরকার দরকার। তিনি মন্তব্য করেন, "এক দুর্নীতিবাজকে বিতাড়িত করে নতুন কোনো দুর্নীতিবাজকে ক্ষমতায় আনার জন্য হাজার হাজার ছাত্র জীবন দেয়নি।"
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চান্ন বছর পরেও দেশে ইনসাফ কায়েম হয়নি এবং জনগণের ভোটাধিকার বারংবার হরণ করা হচ্ছে। কাজী ছাব্বীর মনে করেন, একই দিনে গণভোট ও সংসদ নির্বাচন হলে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ ব্যাহত হবে, তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে জনগণের হয়রানি কম হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এনসিবি'র প্রেসিডিয়াম সদস্য কবি সানজিদা রসুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবাস বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান নিউটন অধিকারী, এনসিবি'র মহাসচিব ইকবাল হাসান স্বপনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: