নিজস্ব প্রতিবেদক, অধিকারপত্র ডটকম:
প্রকাশ্যে 'ভোট ডাকাতির' ঘোষণার প্রতিবাদ এবং জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান ও নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেফতার করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)—সিপিবিএম-এর সভাপতি কমরেড সামাদ। হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি বর্তমানে ধানমন্ডির একটি ক্লিনিকে ভর্তি আছেন।
সিপিবিএম-এর সহঃ সাধারণ সম্পাদক মুফতি তালেবুল ইসলামের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৬ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি চলার সময় প্রেসক্লাব অভিমুখে আসা ৪০/৫০ জন জামায়াত-শিবির কর্মী প্রথমে সাংবাদিকদের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা চালায় এবং ব্যানার ছিনিয়ে নেয়।
হামলার এক পর্যায়ে কমরেড সামাদ কয়েকজন নেতাকর্মীর সাথে দ্রুত তোপখানা রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। মেট্রোরেলের রেলিং পার হওয়ার সময় বিএমএ ভবনের দিক থেকে আসা কয়েকজন যুবক হাতুড়ি ও রড দিয়ে তার ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে সচিবালয়ের দিকে চলে যায়।
হামলায় কমরেড সামাদের মাথা, ঘাড়, মুখ ও নাকে আঘাত লাগে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। সাথে থাকা নারী নেত্রী রিনা, কমরেড শাহীন আহমেদ ও মুফতি তালেবুল ইসলামও আহত হন।
হামলাকারীদের বলতে শোনা যায়, "তোদের কলিজা কতো বড়ো ডঃ শফিকুর রহমান এর গ্রেফতার চাস। শফিকুর এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, আগের দিন শেষ।"
নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ও মূল অভিযোগ
হামলার আগে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ জামায়াত নেতাদের কয়েকটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও বক্তব্যের উদ্ধৃতি দেন। তারা অভিযোগ করেন, জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান একটি সমাবেশে বলেছেন, "জনগন আমাদের ভোট দিক আর না দিক আমাদের ক্ষমতায় যেতেই হবে ইতিমধ্যে আমরা কিছুটা ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছি।"
অন্যদিকে জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের তাদের কথা শুনতে বাধ্য করার কথা বলেছেন।
নেতৃবৃন্দ প্রশ্ন তোলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনে শেখ হাসিনার ভোট কারচুপির সরকারকে উৎখাত করার পরেও যদি জামায়াত নেতারা প্রকাশ্যে দাম্ভিকতার সাথে ভোট কারচুপির কথা বলেন, তবে নির্বাচন কমিশন বা বর্তমান ড. ইউনূসের সরকার কেন নীরব?
দাবি ও আল্টিমেটাম
সিপিবিএম নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান, শাহজাহান চৌধুরীসহ যারা প্রকাশ্যে ভোট কারচুপির পরিকল্পনা করছেন, তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, "আমরা আজকের আমাদের সমাবেশে দেশবিরোধী রাজাকার জামাত শিবির যারা হামলা চালিয়েছে এইসব সন্ত্রাসী দের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি। সরকারকে ৭২ ঘন্টা সময় দিলাম অন্যথায় দেশের জনগন কে সাথে নিয়ে এই দেশবিরোধী ধর্ম ব্যবসায়ী রাজাকারদের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলবো।"

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: