ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য দ্রুত বাড়াতে হবে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা -তথ্যমন্ত্রী

odhikar patra | প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:০৪

odhikar patra
প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:০৪

 

ঢাকা: বুধবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সমতা দ্রুত বাড়ানো প্রয়োজন। বাংলাদেশের উন্নয়নকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো কার্যকরী করার কোনো বিকল্প নেই।’

বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে নবগঠিত বন্দর উপদেষ্টা কমিটির প্রথম সভায় তিনি একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নতির সঙ্গে শুধু সমগ্র দেশের উন্নয়ন জড়িত তা নয়, এ বন্দরের উন্নতির সঙ্গে পুরো দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের উন্নতি নির্ভর করে। বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। আর এই বন্দরকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে মহাপরিকল্পনা। বে-টার্মিনাল সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প। আর দেশের প্রবৃদ্ধির জন্য বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বে-টার্মিনাল এর পাশাপাশি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, লালদিয়া টার্মিনালসহ অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে।’

‘চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের সামগ্রিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয়ী নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত বিশ্বময় নন্দিত হয়েছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নের পাশাপাশি বিশ্ববাণিজ্যে অনন্য অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। লয়েড বন্দর তালিকায় ৬ ধাপ এগিয়ে ৭০ থেকে ৬৪ -তে এসেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এটা কেবল সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায়।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগে আকাশ থেকে বন্দরের বহির্নোঙরে ৫০, ৬০ ও ১০০ জাহাজ দেখা যেতো। এখন অতো জাহাজ থাকে না। এটি প্রাকৃতিক বন্দর। কয়েক শতাব্দী আগে এর প্রতিষ্ঠা। সেভেন সিস্টার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে চায়। বন্দর হ্যান্ডলিংয়ে জড়িত স্টেক হোল্ডার, শ্রমিক বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের মনে রাখতে হবে দেশের স্বার্থ সবার আগে।’

বাংলাদেশের উন্নয়নকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরকে আরো কার্যকরী করতে সকল সেক্টরের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যাশা করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সভায় নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশকে যে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে তা প্রশংসনীয়। তার উন্নয়ন পরিকল্পনায় চট্টগ্রাম বন্দরও সম্পৃক্ত ছিল। সময়ের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরের সমতা বেড়েছে বহুগুণ। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি সেক্টরকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে বিশ্বের সমুদ্র বন্দরগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৫০ এ নিয়ে যেতে কাজ করছে সরকার। চলতি বছর ৬ ধাপ এগিয়ে লয়েড লিস্টে বন্দরের অবস্থান ৬৪। বন্দরকে আরো আধুনিক করতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে।’

সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, নজরুল ইসলাম ওয়াসিকা আয়েশা খান, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দণি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সহ-সভাপতি ও সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিনসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন শফিউর বারীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বন্দর কর্তৃপরে চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ।


-মীর আকরাম PRO



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: