ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের গতি ৮৪ শতাংশ : সেতুমন্ত্রী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:০৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:০৯

 

মুন্সীগঞ্জ, ১৭ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার  : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ। সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুুের পদ্মা সেতুর সার্ভিস এরিয়া-১ এর ভিজিটরস সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে পদ্মা সেতুর কাজ। কিন্তু, পদ্মা নদী খুবই আনপ্রেডিক্টেবল একটি নদী। এখানে একই সাথে তীব্র স্রোত থাকে এবং প্রচুর পলি বহন করে। এতে করে পিয়ারে স্প্যান বসানো সম্ভব হয় না। সিডিউল অনুযায়ী কাজ শেষ করা যায় না।
তিনি বলেন, মূল সেতুর সব’কটি পাইল ড্রাইভিং এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মূল সেতুর ৪২ টি পিয়ারের মধ্যে ৩২ টি পিয়ারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকী ১৯ টি পিয়ারের কাজ চলমান আছে। মোট ৪১ টি ট্রাস বা স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়া সাইটে এসেছে ৩১ টি। যার মধ্যে ১৪ টি পিয়ারে স্থাপন করা হয়েছে, ১৫ তম স্প্যান বসানোর জন্য পিয়ার ২৩-২৪ এর কাছে অবস্থান করছে। চারটি স্প্যান কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে ও একটি চর এলাকায় ২৮ নম্বর পিয়ারের কাছে রাখা আছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে স্ল্যাব এর জন্য ২ হাজার ৯৫৯ টি প্রি-কাস্ট স্ল্যাব প্রয়োজন হবে। এরমধ্যে ২ হাজার ৮৯১ টি স্ল্যাব  তৈরির কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকী স্ল্যাব  আগামী নভেম্বরে তৈরি শেষ হবে। রেলওয়ে স্ল্যাব  স্থাপন করা হয়েছে ৩৬১ টি। অন্যদিকে, ২ হাজার ৯১৭ টি প্রি-কাস্ট রোডওয়ে ডেকস্ল্যাবের মধ্যে ১ হাজার ৫৫৩ টির কাজ শেষ হয়েছে এবং ৫৪ টি স্থাপন করা হয়েছে।
সংযোগ সড়কের শতভাগ কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য ১২ হাজার ১৩৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ২০১ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে, নদী শাসনের বাস্তব কাজের ৬৩ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। নদী শাসন কাজের আর্থিক অগ্রগতি ৫০ দশমিক ৪০ শতাংশ। মোট ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নদী শাসন কাজের চুক্তিমূল্য ৮ হাজার ৭০৭ দশমিক ৮১ কোটি টাকা যার মধ্যে ৪ হাজার ৩৮৮ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
পদ্মা সেতুর জন্য অধিগ্রহন করা জমির মধ্যে পতিত থাকা কিছু জমিতে সেনাবাহিনীর ডেইরী ফার্ম করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেতু প্রকল্পের একখন্ড জমি আছে যেটা সেতু প্রকল্পের কাজে লাগবে না। সে জমিটা পতিত না রেখে সেনাবাহিনীর ডেইরী ফার্ম করা হবে। সেখানে দুধ ও মাংস উৎপাদন হবে। গবাদী পশুর প্রজনন ও জাত উন্নয়ন হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। জাতীয় অর্থনীতির জিডিপিতে ভূমিকা রাখবে।
এ সময় মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলমসহ পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: