
ট্রেন দুর্ঘটনা দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া বগি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেল স্টেশনে তুর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন।সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে তিনি জানিয়েছেন। এতে এখন পর্যন্ত ১৫ জন নিহত হয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারে রেল সচিব বলেন, রেলওয়ের পক্ষ থেকে দু’টি ও জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রেলের দুই কমিটির একটিতে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্বাঞ্চল) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। চার সদস্যের অপর কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে। আর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার কাজ চলছে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
ট্রেনের সিগন্যাল অমান্য করার অভিযোগ প্রসঙ্গে রেল সচিব বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।
স্টেশন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মন্দবাগ রেল স্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে দাঁড়ানো শুরু করে। এতেই দুর্ঘটনা ঘটে। উদয়নের তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। বগিগুলো সরানোর জন্য রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে ৯টি লাশ রয়েছে। আর কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি লাশ রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নারী ও পুরুষের দু’টি লাশ রয়েছে। আর কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতালে একজন পুরুষের লাশ রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র্যাব, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় অধিবাসীরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: