ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আগামীকাল দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় বস্ত্র দিবস পালিত হবে

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৯

আগামীকাল দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় বস্ত্র দিবস পালিত হবে

 

ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯  : বস্ত্রখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সমন্বিত অংশগ্রহণে আগামীকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দেশে প্রথমবারের মত “জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯” পালিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আগামীকাল জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। কাল রাজধানীর মানিক মিয়া এ্যাভিনিউয়ে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বস্ত্রখাতের সকল অংশীজনের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি আয়োজন করা হবে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়াসহ বস্ত্রখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন এ র‌্যালিতে অংশগ্রহণে করবেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় বস্ত্র দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অর্ন্তভূক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি), বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ অনুষ্টানে বস্ত্র দিবসের গুরুত্ব এবং বস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হবে ।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকা-ের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমান সরকার ‘ভিশন-২০২১, অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের করনীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে “বস্ত্রনীতি-২০১৭” এবং “বস্ত্র আইন-২০১৮” প্রণয়ন করা হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের সফলতা অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা প্রদান ও উদ্বুদ্ধ করাসহ উৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: