odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫
চন্দ্রঘোনায় ফেরি চলাচল ব্যাহত

রাঙ্গামাটির নিম্নাঞ্চল পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২১ June ২০২২ ০২:০৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২১ June ২০২২ ০২:০৭

রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটের উভয় পাড়ে পাটাতনে পানি উঠে যাওয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বাঘাইছড়ি উপজেলার পৌরসভার আতমলী, পুরাতন মারিশ্যা, রূপকারী, মাস্টার পাড়া, তুলাবান, বটতলী মুসলিম ব্লক ও বঙ্গলতলী ইউনিয়নের আশপাশের প্রায় ১০টি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলসহ মাছের ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এখনো ঢলের পানি প্রবল বেগে নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করা অব্যাহত থাকায় প্রতি মুর্হুতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। 
এবিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বাঘাইছড়ি উপজেলার বেশ নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ে বসবাসকারী স্থানীয়দের সতর্ক করে মাইকিং করে সকলকে নিরাপদ স্থানে বা আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলার ১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য সংকট মোকবাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী বৈঠক করাসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া, বাঘাইছড়ির পৌর মেয়র জমির হোসেন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্লাবিত এলাকা থেকে মানুষজন সরিয়ে নৌকা ও ট্রলার দিয়েছেন এবং সকল ধরনের সহযোগীতা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
মেয়র বলেন, গতকাল রাত আড়াইটা থেকে বিভিন্ন লোকজন আমরা উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছি এই মুহূর্তে তাদের খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সহায়তার উপজেলা প্রশাসনসহ মিলে সম্মিলিতভাবে কাজ করছি।
এদিকে অতি বর্ষণের ফলে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা ফেরির প্লটুন একাংশ পানিতে ডুবে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে বাসসকে জানিয়েছেন চন্দ্রঘোনা ফেরির তত্তাবধায়ক মো. শাহজাহান। 
তিনি জানান, অতি বর্ষণের ফলে কর্ণফুলি নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় রবিবার বিকেল ৫টা হতে ফেরিঘাটের উভয় পাড়ে পাটাতনে (প্লটুন) পানি উঠে যায়, ফলে ভারী যানবাহন তীরে উঠতে পারলেও হালকা যানবাহন নিয়ে তীরে উঠতে বেশ সমস্যার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি অব্যাহত থাকে তাহলে পাটাতনে অতিরিক্ত পানি উঠলে ফেরি চলাচল যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাট দিয়ে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি হতে আসা যানবাহন রাজস্থলী এবং বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াত করে থাকে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: