odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

ক্যান্সারে দেশে বছরে দেড় লাখ মানুষ আক্রান্ত হন

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৫ February ২০২৩ ০৮:১৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৫ February ২০২৩ ০৮:১৮

চট্টগ্রাম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  : আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার’র (আইএআরসি) অনুমিত হিসাব বলছে, প্রতিবছর বাংলাদেশে দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজারই মারা যান। ‘ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসায় ও যতেœ ঘাটতি অতিক্রম করতে হবে’ স্লেøাগানকে সামনে রেখে চট্টগ্রামস্থ অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। শনিবার সকাল ১১ টায় হাসপাতাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. আনানথ এন রাও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত রোগীদের মধ্যে চিকিৎসার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বক্তব্য উপস্থাপন ও প্রশ্ন উত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন- আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদ জুলফিকার ও রাফায়েত। অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করেন অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের পরিচালনা প্রধান রিয়াজ হোসেন। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ডা. ইফাত শারমিন। ডা. রবিউল হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে এখনো পরিপূর্ণ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি- তাই আমাদেরকে এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সেই লক্ষে আমরা ভারতের স্বনামধন্য চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান অ্যাপোলো হাসপাতালের সাথে যৌথভাবে কাজ করছি। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে স্বল্প খরচে রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতাল। বর্তমানে টেলিহেলথ ব্যবস্থার মাধ্যমে অ্যাপোলো হাসপাতালের অন্যান্য দেশের চিকিৎসকদের সাথে চট্টগ্রামের অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে- যা ক্যান্সার রোগীদের সঠিক রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ, ক্যান্সার রোগীদের অপারেশন কিংবা কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি পরবর্তী চিকিৎসা ও চেকআপ চট্টগ্রামেই করা যাবে এবং এতে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা সাশ্রয়ী হবে। অনুষ্ঠানে ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. ফাহমিদা আহমেদ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ মানুষ মত্যুবরণ করেন ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ নানা অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে। চিকিৎসকদের মতে জনসচেতনতার অভাবেই ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণের ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উপদান হলো প্রাথমিক প্রতিরোধ, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সূচনায় ক্যান্সার নির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রশমন সেবা বা পেলিয়েটিভ চিকিৎসা। তাই ক্যান্সার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: