odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 6th November 2025, ৬th November ২০২৫

হলের নবায়ন ফি কমানোর দাবিতে উপাচার্যের কক্ষে জবি ছাত্রীদের অবস্থান

জবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৪ April ২০২৩ ০৪:৩৯

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪ April ২০২৩ ০৪:৩৯

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সিট নবায়ন ফি কমানো এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে উপাচার্যের কক্ষে অবস্থান নিয়েছে হলের ছাত্রীরা।

সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে এ নিয়ে প্রথমে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নেয় এবং পরবর্তীতে তারা উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।

হলের ছাত্রীরা প্রথমে অভিযোগ নিয়ে প্রভোস্টের কাছে গেলে তিনি তা গ্রহণ করেন নি। ফলে তারা জবি প্রশাসনের কাছে ওয়াইফাই সুবিধা, খাবারের মান বৃদ্ধি, বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ সিট নবায়ন ফি কমানোর দাবি নিয়ে উপাচার্যের কক্ষের সামনে অবস্থান নেয়।

একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, আমরা আমাদের হলের অনেক সমস্যা সংকট এবং দাবি নিয়ে হল প্রভোস্ট এর সাথে দেখা করতে গেলে, হল প্রভোস্ট আমাদের দাবির সাথে কো- অপারেট করা তো দূরে থাক, দেখা করতেই রাজি হননি । আমরা বাধ্য হয়ে ভিসির কাছে যাই। আমাদের প্রথম এবং প্রধান দাবি, ছাত্রী হলে নবায়ন ফি কমাতে হবে।


অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের চেয়ে চার-পাঁচ গুণ বেশি টাকা প্রদান করতে হয় আমাদের। শুধু তাই নয় আমরা প্রতিটি সিটে একজনের জায়গায় দুজন থাকি। তাতেই আমাদের সিট নবায়নের জন্য ৫২৬৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাহলে সে হিসেবে প্রতিটি সিট বাবদ ১০৫৩০ টাকা করে নেন হল প্রশাসন। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।

নাট্যকলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের সিট ভাড়া হিসেবে প্রশাসন আমাদের কাছ থেকে যে ভাড়া নিচ্ছে সেটি হীরক রাজার দেশের মতো স্বৈরাচার আচরণ। দেশের কোন আবাসিক হলে এত টাকা সিট ভাড়া নেওয়া হয়না। হাজার হাজার টাকা সিট ভাড়ার নামে হল বানিজ্য করছে প্রশাসন। তারা ভুলে গিয়েছেন এই হল জবিয়ানদের আন্দোলনের ফসল। অবিলম্বে ছাত্রী হলের সিট ভাড়া কমিয়ে এবং শিক্ষার্থীদেরকে হলের অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। নতুবা, আমরা বৃহৎ আন্দোলনে যওয়ার পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।

শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই হলের সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। আর হলের ফি যেন সকল শিক্ষার্থীদের সাধ্যের মধ্যে থাকে সেভাবেই নির্ধারণ করা হবে। এর মাঝে কেউ যেন আবার টাকা জমা না দেয় সে বিষয়টিও সকলকে জানাতে বলেছেন তিনি।

এবিষয়ে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমরা ট্রেজারারের সাথে বসে এ বিষয়ে আলোচনা করবো।

তিনি আরো বলেন, হল কতৃপক্ষের কাছে কোনো টাকা জমা হয় না। টাকা জমা হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে, তাই আলোচনার আগে কিছু বলতে পারবো না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: