odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে ইসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: সিইসি

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৫ January ২০২৫ ১৯:২৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৫ January ২০২৫ ১৯:২৩


নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার হালনাগাদের তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

সিইসি বলেন, ১৮ কোটির মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কাজ করতে গিয়ে ইচ্ছাকৃত ভুল কমিশন করবে না উল্লেখ করে নাসির উদ্দিন আরো বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা যে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, আমরা তা ঘোচাতে চাই, বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই। আমরা আমাদের কমিটমেন্টে অটল আছি। আমরা সকলের সহযোগিতা চাই।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট হলো, জাতিকে একটি ফ্রি-ফেয়ার-ক্রেডিবল ইলেকশন উপহার দেওয়া। আমি প্রায়ই বলি, আমাদের বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনে যাচ্ছেন, আন্দোলন করছেন, তাদের বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরছেন, দেশের ১৮ কোটি বঞ্চিত মানুষ কোথায় যাবেন? সামনে নির্ভুল ভোটার তালিকার পাশাপাশি ও নির্বাচনে সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। আমরাও ক্রান্তিকালীন সময়েরই নির্বাচন কমিশন। দায়িত্ব ছাড়াও দেশবাসীর প্রত্যাশা সরকারের কাছে যেমন বেশি, আমাদের কাছেও তেমনি বেশি। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইন-কানুনের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। এ জন্য পুরোনো মন-মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, সব সংস্কারের বড় সংস্কার নিজের আত্মাকে সংস্কার করা। মন-মগজ সংস্কার না হলে, আখেরে ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমাদের মন-মানসিকতায় সংস্কার আনতে হবে।’

সিইসি বলেন, ‘১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের সংস্কার কাজের অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের এখানে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন রয়েছে। তারা যে সুপারিশ দেবে, তাতে আমাদের বিধিবিধান, আইন-কানুনে পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে, এ কাজে আমরা সকলের সহযোগিতা চাই। ধাপে ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর পৌনে এক লাখ লোকবলকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।’

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা ও দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্ব শর্ত। ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমদ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন এবং বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।’

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বিগত নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে তার সবটুকুই করবে কমিশন। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা ও অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশগ্রহণ না করে। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার ও নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে।’

ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ সেখান থেকে কমিশন এবার বেরিয়ে আসতে পারবে দাবি করে তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল, তা কমে এসেছে। মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। ভোটকে কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: