odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কারকি

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১২ September ২০২৫ ২৩:৫৭

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১২ September ২০২৫ ২৩:৫৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | অধিকার পত্র ডটকম

নেপালের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সুশীলা কারকি। সাবেক প্রধান বিচারপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী — সংকটময় সময়ে নেতৃত্ব গ্রহণ করলেন এই অভিজ্ঞ আইনজ্ঞ।


ঘটনার বিস্তারিত:

নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দুর্নীতিবিরোধী তরুণ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি আজ শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।

দেশের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল তাঁর হাতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ পাঠ করান। এর মাধ্যমে নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও ইতিহাসে নাম লেখালেন ৭৩ বছর বয়সী এই বর্ষীয়ান নারী।


কে এই সুশীলা কারকি?

  • সুশীলা কারকি ছিলেন নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি, যিনি দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান, ন্যায়বিচারে আপসহীনতা ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রায় দেওয়ার জন্য পরিচিত।
  • নেপালের চলমান রাজনৈতিক সংকটে একটি সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের অংশ হিসেবে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করা হয়।

পটভূমি: কীভাবে এলেন কারকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে?

গত সপ্তাহে নেপালে দুর্নীতিবিরোধী গণআন্দোলনের কারণে:

  • বর্তমান সরকার পদত্যাগ করে
  • সংসদ ভবনে আগুন লাগে
  • সেনাবাহিনী রাজপথের নিয়ন্ত্রণ নেয়
  • ‘জেনারেশন জেড’ তরুণদের আন্দোলন জোরালো হয়

এই পরিস্থিতিতে একটি বিশ্বস্ত ও নিরপেক্ষ নেতৃত্ব খুঁজছিল দেশটি, এবং সেই আস্থার জায়গা থেকেই উঠে আসেন সুশীলা কারকি।


প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বক্তব্য:

শপথ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি বলেন:

“নেপাল এখন পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে। দুর্নীতি, অনিয়ম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে লড়ব।”

তিনি আরো বলেন:

“তরুণদের স্বপ্নের একটি নেপাল গড়তে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সকল দল ও শ্রেণিকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব।”


আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

  • জাতিসংঘ মহাসচিব কারকির নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়ে বলেন,

    “নেপালের গণতন্ত্র পুনর্গঠনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

  • প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রশংসা করেছে।

  • ইউরোপীয় ইউনিয়ন সুশীলা কারকিকে “সংকটে নেতৃত্বদানকারী এক সাহসী নারী” বলে অভিহিত করে।


নাগরিকদের প্রত্যাশা:

রাজপথে আন্দোলন করা তরুণ-তরুণীরা আশাবাদী যে:

  • একটি স্বচ্ছ সরকার গঠিত হবে
  • তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান ও শিক্ষার সুযোগ বাড়বে
  • দুর্নীতির জবাবদিহি নিশ্চিত হবে

নেপালের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো সুশীলা কারকির শপথের মধ্য দিয়ে। তিনি কেবল একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী নন, বরং এই দুঃসময়ে নেপালের জন্য এক প্রতীকী শক্তি। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাঁর নেতৃত্ব, স্বচ্ছতা ও সাহসিকতার ওপর।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: