odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 1st November 2025, ১st November ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ৪০ বিচারবহির্ভূত হত্যা ও ৮৮ জনের কারাগারে মৃত্যু: ‘অধিকার’ রিপোর্ট

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩১ October ২০২৫ ২১:২৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩১ October ২০২৫ ২১:২৮

 “অধিকারপত্র.কম”-

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ জানিয়েছে, গত ১৩ মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালে ৪০টি বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হয়েছে। একই সময়ে ৮৮ জন বন্দির মৃত্যু হয়েছে কারাগারে
সংস্থাটির মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ১৯ জনকে গুলি করে, ১৪ জনকে নির্যাতনের মাধ্যমে এবং ৭ জনকে হেফাজতে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবেশী ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গত এক বছরে ৩৫ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে এবং ২,৩৩৩ জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করেছে

অধিকার বলছে, মানবাধিকার পরিস্থিতির এমন অবনতি উদ্বেগজনক ও অমানবিক। সংস্থাটি সরকারের প্রতি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

এদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে নতুন করে অনৈক্য দেখা দিয়েছে। বিএনপি অভিযোগ করেছে, সনদের কয়েকটি দফা অগোচরে পরিবর্তন করা হয়েছে, যা তাদের ভাষায় “জাতির সঙ্গে প্রতারণা”।

অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল মন্তব্য করেছেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর এমন অনৈক্য দুর্ভাগ্যজনক; এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।”

একই সঙ্গে চলমান অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি গত বছর ২৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে
বায়ুদূষণের কারণে ২০২২ সালে ২ লাখ ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে— যা ২০১০ সালের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও পরিবেশগত ক্ষতি মিলে বাংলাদেশ এখন একটি জটিল সামাজিক ও প্রশাসনিক সংকটে পড়েছে।


বিশ্লেষণ বলছে

বিশ্লেষকরা মনে করেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকি—এই তিনটি বিষয় বর্তমানে সমান্তরালভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের প্রবণতা, রাজনৈতিক সমঝোতার অভাব ও জলবায়ু-সংকটের আর্থিক অভিঘাত—সব মিলিয়ে দেশের সার্বিক শাসনব্যবস্থার ওপর আস্থা কমে যাচ্ছে।
তারা মনে করেন, যদি দ্রুত রাজনৈতিক সংলাপ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে মানবাধিকার ও অর্থনীতি—দুই ক্ষেত্রেই আরও গভীর সংকট তৈরি হতে পারে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: