প্রতিবেদন তারিখ: ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
ঢাকা, অধিকারপত্র ডটকম:
গাজার যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ, মানবিক সহায়তা সমন্বয় এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি নতুন মার্কিন ঘাঁটিতে ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যাপক নজরদারি চালাচ্ছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
মার্কিন এবং মিত্র বাহিনীর কার্যক্রমের ওপর এই নজরদারির মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পাওয়ায় যৌথ সামরিক ঘাঁটিতে এখন তীব্র কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দ্য গার্ডিয়ানের বরাত দিয়ে জানা যায়, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত সিভিল-মিলিটারি কোঅর্ডিনেশন সেন্টারে (CMCC) প্রকাশ্যে ও গোপনে বিভিন্ন মিটিং এবং আলোচনা রেকর্ড করার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় সেখানে নিযুক্ত মার্কিন কমান্ডার লে. জেনারেল প্যাট্রিক ফ্রাঙ্ক ক্ষুব্ধ হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি ইজরায়েলি প্রতিপক্ষকে ডেকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেন— "রেকর্ডিং এখানে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে" (“recording has to stop here”)।
আড়িপাতার মাত্রা:
CMCC মূলত গাজায় যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার অধীনে মানবিক সহায়তা সমন্বয় ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা তৈরির জন্য অক্টোবর মাসে স্থাপন করা হয়েছিল।
* সূত্র মতে, এই ঘাঁটিতে
ইজরায়েলি এজেন্টরা মার্কিন বাহিনীর পাশাপাশি মিত্র দেশগুলোর কর্মকর্তা ও কর্মীদের ওপরও নজরদারি চালাচ্ছে।
বিদেশী কর্মীদের অনেকে ইসরায়েলের এই কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সংবেদনশীল তথ্য ভাগ করে নিতে সতর্ক করা হয়েছে, কারণ সেই তথ্য সংগ্রহ ও অপব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে।
এই অভিযোগের বিষয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনী কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। তবে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) এক বিবৃতিতে এই দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে মিটিংগুলির নথি ও সারসংক্ষেপ তৈরি করা হয়, যা পেশাদার সংস্থা হিসেবে তারা স্বচ্ছ এবং সম্মত উপায়েই করে থাকে।
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রটি যৌথভাবে পরিচালিত হলেও, গাজার সীমান্তে এবং ভূখণ্ডে প্রবেশকারী ত্রাণ সরবরাহের উপর চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ এখনও ইজরায়েলের হাতেই রয়েছে। আন্তর্জাতিক অংশীদারদের আশঙ্কা, এই ধরনের নজরদারি গাজার ভবিষ্যতের পরিকল্পনা গুলিকে ঝুঁকিতে ফেলবে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইসরায়েলের সামরিক স্বার্থে ব্যবহৃত হতে পারে।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: