odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 16th November 2025, ১৬th November ২০২৫

মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করায় তালাক দিল মোসাদ্দেক হোসেন

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৮ August ২০১৯ ০০:১৬

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৮ August ২০১৯ ০০:১৬

এখন থেকে ঠিক ৬ বছর আগের কথা। খালাতো বোন সামিয়া শারমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় জাতীয় দলের বর্তমান তারকা ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেনসৈকতের।

বিয়ের পর থেকেই সৈকতকে তার পরিবার ছেড়ে আলাদা সংসার করতে চাপ দিতে থাকে শারমিন। একদিকে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা অন্যদিকে স্ত্রীর আলাদা হওয়ার চাপ। একপর্যায়ে স্ত্রীকে তালাক বা ডিভোর্স দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার।

নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী শারমিন।

এ বিষয়টি চাউর হওয়ার পর বিকেল থেকেই মোসাদ্দেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। রাতে মোসাদ্দেক বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই ও আমাকে আলাদা সংসার গড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু আমার বাবা নেই, যে মায়ের কারণে আমি আজ ক্রিকেটার। সেই মাকে ছেড়ে কিভাবে আলাদা থাকি? এটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি ওকে এটা নিয়ে অনেক বুঝিয়েছি।’

সৈকত আরও বলেন, ‘আমি যখন খেলার কারণে ট্যুরে থাকতাম তখন ও আমার মার সঙ্গে ঝগড়া করত। মাকে একাধিকবার মেরেছেও। এসব কারণে আমি গত ১৬আগস্ট তাকে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দেই।’

স্ত্রীর যৌতুকের অভিযোগ নিয়ে মোসাদ্দেক  বলেন, ‘দেখেন ওকে আমি গত ১৬ আগস্ট তালাক দিয়েছি। তার আগে ও কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। তালাক দেয়ার পর ও নাটক শুরু করেছে। আমার ক্যারিয়ার ধ্বংসের চক্রান্ত করছে।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে এত খারাপ সময় আমার আসেনি যে যৌতুক নিয়ে আমার চলতে হবে। আমি শুনেছি যে ডিভোর্স দিলে নাকি এমন নারী নির্যাতন বা যৌতুকের একটা মামলা করা হয়। তারাও হয়তো তাই করেছে।’

স্ত্রীর কর্মকাণ্ডে হতাশ জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার  আক্ষেপ করে বলেন, ‘ছেলে হয়ে জন্মে ভুল করেছি। আজ মেয়েরা যা বলে তাই সত্যি হয়। আমাদের কথা কেউ সত্যি মনে করে না। ’

প্রসঙ্গত, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন। ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইন ৩ ও ৪ ধারায় অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়ে সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১২ সালে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সাথে তার আপন খালাতো বোন সামিয়া শারমিনের বিয়ে হয়।

সৈকতের স্ত্রীর বড় ভাই মোজাম্মেল কবির জানান, সৈকত আমার খালাতো ভাই। তাদের পারিবারিক অবস্থা এক সময় খুব খারাপ ছিল। সে আমাদের বাসায় আসা-যাওয়া করতো। তখন আমার বোনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। আমরা বোনের বিয়ের জন্য পাত্র ঠিক করি, সৈকত তখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়। সৈকত তখন আত্মহত্যার হুমকি দেয়। ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে। একসময় আমরা তাদের বিয়ে দেই।

সৈকতের স্ত্রী সামিয়া শারমিন বলেন, সৈকতের দুর্দিনে আমি তার পাশে ছিলাম। তার অর্থ-খ্যাতি হওয়ার পর সে আমার সাথে বাজে ব্যবহার শুরু করে। মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনও শুরু করে। এপ্রিলে আমি কনসিভ করি। রোজার ঈদের আগে আমার বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায়। ঈদে সৈকত বাড়ি আসে। আমি তাদের বাসায় ছিলাম। তার মা আমাকে বললো, বাপের বাড়ি চলে যেতে। কারণ আমার সেভাবে যত্ন হচ্ছিল না সেখানে। দু’মাস ধরে আমি বাসায়। তারা আমার সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: