odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২

ম্যানচেস্টার হামলার পর বিক্ষোভ বাতিলের আহ্বান, যুক্তরাজ্যে উত্তেজনা বাড়ছে

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:০২

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:০২

অধিকার পত্র ডেস্ক 

 লন্ডন, ৩ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাজ্যের মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি পরিকল্পিত প্রো-প্যালেস্টাইন বিক্ষোভ বাতিল বা পিছিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, কারণ সাম্প্রতিক ম্যানচেস্টার ছুটির দিনের একটি সিনাগগ হামলায় দুই জন নিহত হয়েছে। পুলিশ দাবি করছে, বিক্ষোভ আয়োজন করা হলে তারা যেসব নিরাপত্তা চাহিদা মোকাবিলা করবে, তা গোষ্ঠী সুরক্ষা কার্যক্রম থেকে শানিত হবে। 

• বৃহস্পতিবার, ম্যানচেস্টারে হিটন পার্ক হিব্রিউ কনগ্রিগেশন সিনাগগ সংলগ্ন এলাকায় এক ব্যক্তি গাড়ি চালিয়ে পথচারীদের ওপর ধাক্কা দিয়ে তারপরে ছুরি দিয়ে হামলা চালায়। এই ঘটনায় দুই জন নিহত এবং কয়েকজন গুরতরভাবে আহত হন। 
• হামলাকারীকে জিহাদ আল-শামি নামে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হন। 
• পুলিশ বর্তমানে তদন্ত করছে যে নিহতদের মধ্যে একজন বা দুইজন হয়তো পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি ও প্রতিক্রিয়া

• মেটropolitan পুলিশ বলেছে, “ম্যানচেস্টার হামলা এমন একটি ভয় ও উদ্বেগ তৈরি করেছে, এবং এই সময়ে আমাদের প্রতিটি অফিসারকে স্থানীয় কমিউনিটি সুরক্ষার দিকে মোতায়েন করতে হবে।”
• তারা যুক্তি দিচ্ছে, লন্ডনে শুক্রবার বা শনিবারের জন্য নির্ধারণ করা বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করলে প্রচুর পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রাখতে হবে, যা কার্যকরভাবে অন্যান্য এলাকায় নিরাপত্তা দেওয়ার কাজ থেকে সরিয়ে নেবে। 
• গৃহসচিব শাবানা মাহমুদ জনগণকে আহ্বান করেছেন, “একটু সময় দিন যারা শোকমগ্ন, এবং এই মুহূর্তে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না।” 
• মাহমুদ আরও বলেন, “বিক্ষোভের স্বাধীনতা আমাদের অধিকার, কিন্তু এটাও সত্যি যে কখন ও কীভাবে এই অধিকার প্রয়োগ হবে, সেটাও বিবেচনায় নেওয়া উচিত।” 
• বিক্ষোভ আয়োজনকারী গ্রুপ Defend Our Juries জানিয়েছে তারা হামলার ঘটনাকে সারল্যভাবে নিন্দা জানায়, কিন্তু তারা এখনও বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় অটল রয়েছে। 

 বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয়
• নিরাপত্তা ও পুলিশ জনবল: এমন একটি হামলার পর, পুলিশকে একই সময়ে সন্ত্রাসবিরোধী কাজ ও প্রদর্শন নিয়ন্ত্রণ দুটি দায় ভার একসঙ্গে সামলাতে হবে।
• প্রদর্শন বনাম শোক: সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে, সাময়িকভাবে বিক্ষোভ স্থগিত রাখা উচিত, যাতে শোকপ্রবণ সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে স্পর্শ না ঘটে।
• বিক্ষোভ অধিকার আর সুরক্ষা: যদিও একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিক্ষোভ অধিকার সংবিধানগত, তবে নিরাপত্তার চাহিদা ও জনভীতির সময় এটি নিয়ন্ত্রিত হওয়া জরুরি।
• সামাজিক উত্তাপ: এই ঘটনার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে, বিশেষ করে গাজা–ইসরায়েল বিবাদের প্রেক্ষাপটে।
• আইনি বাধা: বর্তমানে আইনগতভাবে সরকার কোনো বিক্ষোভ সরাসরি নিষিদ্ধ করতে পারবে না, যদি না সে আইন-উলঙ্ঘন করে। 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: