odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 26th October 2025, ২৬th October ২০২৫

ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৬ October ২০২৫ ১৫:৪৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৬ October ২০২৫ ১৫:৪৮

 

ঢাকা, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ :
পাঁচ বছর বন্ধ থাকার পর আজ (রোববার) থেকে ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালু হয়েছে। এই পদক্ষেপকে বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এশিয়ার দুই বড় রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ পুনরায় চালু হওয়ায় দুই দেশের জনগণের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং দ্বিপাক্ষিক লেনদেন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে। বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি ভারতের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।

ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স কলকাতা থেকে প্রথমবারের মত দৈনিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে, যা স্থানীয় সময় রাত ১০টায় গুয়াংঝুর উদ্দেশে রওনা হবে। আগামী নভেম্বরে নয়া দিল্লি, সাংহাই ও গুয়াংঝুর মধ্যেও ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে।

ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের সভপতি রাজীব সিং জানিয়েছেন, সরাসরি বিমান চলাচলে পণ্য পরিবহণ ও যাত্রার সময় কমবে, যা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভালো হবে।

ভারতের পূর্ব উপকূলীয় বন্দর নগরী কলকাতার সঙ্গে চীনের শত বছরের পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। বৃটিশ শাসনের সময় চীনা ব্যবসায়ীরা সেখানে অভিবাসী হিসেবে বসবাস করতেন। সেজন্যই ইন্দো-চাইনিজ ফিউশন খাবার এখনও কলকাতার মানুষের কাছে জনপ্রিয়।

কলকাতার ট্যাংরা এলাকার চায়নাটাউনের সিভিল সোসাইটি নেতা চেন খোই কুই বলেছেন, 'চীনে যাদের আমাদের মত আত্মীয়-স্বজন আছে, তাদের জন্য এটি দারুণ খবর। আকাশপথের এই সংযোগ বাণিজ্য, পর্যটন ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়াবে।'

ভারতের চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে বড় ঘাটতি রয়েছে। দেশটি শিল্প ও রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য চীনের কাঁচামালের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। গত মাসে চীন থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি করেছে দেশটি, যা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। একই সময়ে চীনে ভারতের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১.৪৭ বিলিয়ন ডলার। এটি তুলনামূলকভাবে কম হলেও গত বছর একই সময়ের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেড়েছে।

করোনা মহামারির সময় ভারত ও চীনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রতি মাসে প্রায় ৫০০টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছিল। ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় এবং চার চীনা সেনাসদস্য নিহত হওয়ার পর দু’দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়। ভারত চীনা বিনিয়োগে বিধিনিষেধ কঠোর করে এবং টিকটকসহ শত শত অ্যাপ নিষিদ্ধ করে। এরপর ভারত মার্কিন নেতৃত্বাধীন কোয়াড জোটের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে। ওই জোটে জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে। এটি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবেলার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে।

উভয় পক্ষই তাদের বিতর্কিত ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার (২,১৭৫ মাইল) সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। তবে সম্প্রতি হিন্দু ধর্মালম্বীদের উৎসব 'দিওয়ালি'তে তারা একে অপরকে মিষ্টি উপহার দেয়। এটিকে 'সৌহার্দ্য প্রকাশের ইঙ্গিত' বলে উল্লেখ করেছেন চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: