চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতায় বড় পরিবর্তন!
৭৫% সমস্যার সমাধান — ইউনূসের কাছে অগ্রগতি রিপোর্ট
২০২৭ এর আগেই নগর মুক্ত হবে পানিবন্দিত্ব থেকে?
চট্টগ্রাম, ৫ নভেম্বর ২০২৫:
চট্টগ্রাম নগরের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে বড় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ৭৫ শতাংশ জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হয়েছে এবং চলমান চারটি প্রকল্পের ৮৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার ড. মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। পরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, চলতি বছর শহরের জলাবদ্ধতা ২০২৩ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
২০২৩ সালে ১১৩টি এলাকায় ৮–৯ ঘণ্টা জলাবদ্ধতা থাকলেও এখন তা কমে ২১টি এলাকায় ২–৪ ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ হয়েছে।
২০২৬ সালে মাত্র ১০টি এলাকায় এবং ২০২৭ সালের মধ্যে চট্টগ্রামকে সম্পূর্ণ জলাবদ্ধতামুক্ত করার লক্ষ্য রয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডও কাজ করছে।
সভায় জানানো হয়—
- প্রতিদিন শহরে উৎপন্ন বর্জ্য: প্রায় ৩২০০ টন
- সিটি করপোরেশনের অপসারণ সক্ষমতা: ২৭০০–২৮০০ টন
- নগরের খাল–ড্রেনে আটকে থাকা বর্জ্যই জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ
জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে ১২টি পাম্প স্থাপন করা হয়েছে, যার ১০টি চালু। সব চললে প্রতিদিন প্রায় ২৪ কোটি লিটার পানি অপসারণ করা সম্ভব হবে। পর্যায়ক্রমে আরও ৫৬টি পাম্প স্থাপন করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
“চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রথম ধাপ সফল হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ধাপে কাজ শুরু হবে।”
তিনি সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে লিখিত পরিকল্পনা জমা দিতে নির্দেশ দেন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনারকে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেন।
এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় কৃতজ্ঞতা জানান হয়। একই সঙ্গে শহরের দুটি খাল সংস্কারে বিএনপি ও জামায়াতের নিজস্ব অর্থায়নেও এ কাজ এগিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় অগ্রগতি। প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন পেশ — ৭৫% সমস্যা সমাধান, ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: