ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

 ষাটের দশকের অন্যতম শীর্ষ কবি বেলাল চৌধুরী আর নেই

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ২০:১১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল ২০১৮ ২০:১১

 

। আজ দুপুর বারটা এক মিনিটে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৯। মৃত্যুকালে কবি দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে যান।
কবির মৃত্যুর সংবাদ রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। কবি , লেখক, সাংবাবদিকসহ অনেকেই হাসপাতালে ছুটে যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি, ডায়াবেটিক রোগে ভোগছিলেন। বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে গত পয়লা নভেম্বর কবিকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত সাড়ে পাঁচ মাস ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত শুক্রবার থেকে ছিলেন লাইফসাপোর্টে।
কবি বেলাল চৌধরী একাধারে কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও সম্পাদক। তিনি লেখালেখির পাশাপাশি পেশাগতভাবে সাংবাদিকতায় ছিলেন দীর্ঘকাল। ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতবাসের পত্রিকা ‘ভারত বিচিত্রা’ সম্পাদনা করেন পনের বছর। দীর্ঘদিন কলকাতায় অবস্থানকালে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাহিত্য পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’ সম্পাদনা করেন। সেখানে আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। ঢাকায় দৈনিক রূপালী গ্রুপের পত্রিকা সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ সম্পাদনা করেন।
কবি বেলাল চৌধুরী ১৯৩৮ সালের ১২ নভেম্বর ফেনী জেলার শর্শদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রফিকউদ্দিন আহমাদ চৌধুরী এবং মাতার নাম মুনীর আখতার চৌধুরানী।
কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ গ্রন্থসহ বেলাল চৌধুরীর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২২টি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে, নিষাদ প্রদেশে (১৯৬৬), বেলাল চৌধুরীর কবিতা (১৯৭৬), আত্ম প্রতিকৃতি, স্থির জীবন ও নিসর্গ (১৯৭৬),স্বপ্নবন্দী, সেলাই করা ছায়া, জলবিষুবের পূর্ণিমা (১৯৮৬), প্রতি নায়কের স্বগতোক্তি, (১৯৮৭), যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাস (১৯৯৭), বত্রিশ নম্বর (১৯৯৭), ভালবাসার কবিতা (১৯৯৭), যে ধ্বনি চৈত্রে শিমূলে প্রভৃতি।
সাহিত্যে অবদানের জন্য কবি বেলাল চৌধুরী রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশের পদক (২০১৪), বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৪), মাযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার, জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার লাভ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: