ঢাকা | Sunday, 19th October 2025, ১৯th October ২০২৫

ঢাকায় ৮ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৪ August ২০১৮ ১৭:৪১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৪ August ২০১৮ ১৭:৪১

 

 

ঢাকায় ৮ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা জেলার রমনা, জিগাতলা, ধানমন্ডি, আদাবর, পরিবাগ, কাকরাইল, বনশ্রী, মগবাজার, শ্যামলী, কামরাঙ্গীরচর, বাংলাবাজার, নারিন্দা, পোন্তগোলা ও ডেমরা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুলা, শীতলক্ষ্যা ও সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় প্রি-পেমেন্ট মিটার বসানো হবে। ফলে বর্তমান পোস্ট পেইড মিটারিং সিস্টেমে প্রচুর কারিগরি ও অকারিগরি সিস্টেমে যে লস হতো এবং বিদ্যুত বিল বকেয়া থাকতো, সেটি আর থাকবে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্পসহ ৩ হাজার ৮৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৯ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৩৩৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৬৯৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন,ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় ৮ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ৬৫৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৬০৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারি সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ৫০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা খরচ করা হবে।
তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে ১৯ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। বছর শেষে ২০ হাজার মেগাওয়াটের উপরে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মুস্তাফা কামাল জানান, প্রধানমন্ত্রী কৃষি জমি রক্ষায় নতুন রাস্তা যাতে কম করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় নগর দারিদ্র হ্রাসকরণকরণ কর্মসূচি প্রকল্পের অনুমোদন দিতে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুশৃঙ্খল হওয়ার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে-প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্প, এর খরচ ধরা হয়েছে ৮২৬ কোটি টাকা। নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ভালুকা-গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার জেলা মহাসড়ক, করটিয়া-বাসাইল জেলা মহাসড়ক এর পকুল্লা-দেলদুয়ার-এলাসিন জেলা মহাসড়কের দেলদুয়ার-এলাসিন অংশকে যথাযথ মানের প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।
এছাড়া গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ ভায়া নাকাইহাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় আট লাখ পঞ্চাশ হাজার স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৫৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। ইস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ পুলিশের ডাটা সেন্টারের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আওতাধীন মহানন্দা নদীর শেখ হাসিনা সেতুর সাথে সংযোগ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: