odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী ও উদ্বোধক হিসেবে পদ্মা সেতু ফলকে শেখ হাসিনার নাম থাকবে

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২৫ June ২০২২ ০৮:১৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২৫ June ২০২২ ০৮:১৮

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২২ বছর আগে ২০০১ সালের ৪ জুলাই বাংলাদেশের এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয় বৃহত্তম অবকাঠামো পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। জাতি এখন এ সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া পূর্ব মূহূর্তে সময় গণনা করছে। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ২৫ জুন (শনিবার) এটি উদ্বোধন করবেন। 

সেতুর অবকাঠামো, ভিত্তি প্রস্থর এবং উদ্বোধনী ফলক বিভিন্ন মেয়াদে ও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালনের স্মৃতি বহন করবে।
শেখ হাসিনা দুই দশক আগে পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ওই সময় দেশের বৃহত্তম এ সেতু বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় নির্মাণ করা হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তখন শেখ হাসিনা সাহায্য-সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য দাতা সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। 
অবশেষে, এ সেতু একটি অবকাঠামো হিসেবে বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। পুরোপুরি নিজস্ব অর্থায়নে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দাতা সংস্থাগুলো অংশ নিবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৬.০৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ২৩.৩২ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট এ সেতুর উপর দিয়ে হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচলের চারটি লেন এবং নিচের অংশ দিয়ে ট্রেন চলাচলের লাইন রয়েছে। এসবের পাশাপাশি এ সেতুতে বিদ্যুত সঞ্চালন ও গ্যাস পরিবহন লাইন রয়েছে।
প্রাক-সম্ভাব্যতা জরিপ অনুযায়ী, ২০০৮ সাল নাগাদ এ সেতুর কাজ শেষ করতে ৫,৩৭৪.৬২ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। 
প্রধানমন্ত্রী প্রমত্তা নদী পদ্মার ওপর বৃহত্তম এ সেতুতে অর্থায়নে জাপানের প্রতিশ্রুতির জন্য দেশটির জনগণ ও সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। 
তিনি এ সেতু নির্মাণের আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংককেও ধন্যবাদ জানান। 
শেখ হাসিনা বলেন, এ সেতুর নির্মাণ সামগ্রিকভাবে দেশের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়নে এবং জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতিশীলতা সঞ্চার এবং নতুন যুগের সূচনা করবে।
এছাড়া পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ছোট, মাঝারি ও  বড় আকারের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: