ঢাকা | রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রাজনৈতিক স্বার্থে শ্রমিক ইস্যু ব্যবহার না করে,বরং সহযোগিতা করুন : আইএলও’কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী 

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৪৬

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৪৬

 পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আব্দুল মোমেন কোন রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় শ্রমিক ইস্যু ব্যবহার না করে, বরং সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শ্রম অধিকার আরো উন্নয়নে বাংলাদেশকে আর্র্র্থিক সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতি আহবান জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শ্রমিক ইস্যুতে যদি কোথাও কোনো দুর্বলতা থেকেও থাকে, অনুগ্রহ করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে, অস্ত্র হিসেবে তাকে  ব্যবহার না  করে, সমস্যাগুলোকে মোকাবেলায় উদারভাবে আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসুন”।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ রাজধানীর ফরেন সাভির্স একাডেমিতে ”কর্মক্ষেত্রে মৌলিক নীতিমালা এবং অধিকার : আইএলও’র সাথে বাংলাদেশের ৫০ বছর” শীষর্ক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। 

মোমেন বলেন, আইএলও’র নিজস্ব উদ্দেশে কর্মীদের মাধ্যমে কাজ করানোর একটা প্রবনতা আছে, যা প্রায়ই জাতীয় ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানে টেকসই প্রভাব রাখতে ব্যর্থ হয়। তিনি বলেন, আমরা আইএলওকে সক্ষমতা অর্জণে একজন অংশীদার হিসাবে দেখতে চাই। স্থানীয় বিষয়ে তাদের মাথা ঘামানো দেখতে চাই না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আশা করে, আইএলওসহ আমাদের উন্নয়ন অংশীদারগন একতরফাভাবে নিজেদের মত অনুযায়ী সব কিছুতেই একটি মডেল চাপিয়ে না  দিয়ে, স্থানীয় পর্যায়ের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মূল্যবোধকে স্বীকার করে কাজ করবে।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাণাপ্লাজার ঘটনার উল্লেখ না করে বলেন, উন্নয়নশীল অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের শ্রম সেক্টরে কিছু মর্মান্তিক ঘটনা  ঘটেছে। তিনি অতীতের দুর্ভাগ্যজনক এ সব ঘটনার দিকে নজর না দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকারি প্রচেষ্টায় যোগ দিতে আইএলও’র প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় তা কিছু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থ রক্ষা ও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে। 
মোমেন বলেন, অতিতে দেখা গেছে, আইএলও সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টরের সঙ্গে প্রকল্প নিয়েছে। আমরা আইএলওকে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন কৌশলের সাথে কাজ করতে দেখেছি, দাতা সংস্থার কোন এজেন্ডা অথবা অন্য কোন মহলের  স্বার্থ রক্ষায় পরিচালিত হতে দেখা যায়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দেখতে চায়, সারাবিশ্বে প্রবাসী শ্রমিকদের শ্রম অধিকার রক্ষায় আইএলও আরও শক্ত অবস্থান নিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, প্রবাসী শ্রমিকরা আমাদের উন্নয়ন অংশীদার, তারও মানুষ এবং তাদের প্রতি যে অন্যায় আচরন করা হয়, সেটিও দেখা উচিৎ। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সাম্প্রতিক সংকট নিরসনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং আইএলও’র এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক সহকারি মহাপরিচালক চিহোকো আসাদা মাইয়াকাওয়াও বক্তব্য রাখেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: