ঢাকা | ২ ডিসেম্বর ২০২৫
মূল তথ্য
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে—এ সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে কমিশন একটি বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যেখানে গণভোটে ভোটারদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্ন ও সংশ্লিষ্ট সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণভোটে ভোটারদের কাছে একটি মূল প্রশ্ন উপস্থাপন করা হবে—
“আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং এতে লিপিবদ্ধ নিম্নোক্ত প্রস্তাবসমূহে সম্মতি প্রদান করছেন?” (হ্যাঁ/না)
গণভোটের আওতায় প্রস্তাবিত চারটি মূল বিষয় হলো—
- (ক) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধানব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই জাতীয় সনদে নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় গঠন।
- (খ) দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ গঠন এবং দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা; সংবিধান সংশোধনে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
- (গ) সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা পুনর্নির্ধারণসহ মোট ৩০টি সংস্কার বিষয়ে বাস্তবায়ন বাধ্যবাধকতা।
- (ঘ) জুলাই জাতীয় সনদে উল্লিখিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন।
কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য
ইসি সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ও তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনগণের সরাসরি মতামতের ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কারের বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতেই জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একই দিনে ভোট ও গণভোট—সংবিধান সংস্কারে কী বলবেন আপনি?
জাতীয় নির্বাচন ২০২৫, গণভোট বাংলাদেশ, নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি, জুলাই জাতীয় সনদ, সংবিধান সংস্কার, দ্বি-কক্ষ সংসদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: