odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

প্রশাসনকে না জানিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে করা যাবেনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।

odhikar patra | প্রকাশিত: ২ November ২০২২ ০৮:১১

odhikar patra
প্রকাশিত: ২ November ২০২২ ০৮:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে আগেই স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে, প্রশাসনকে না জানিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবেনা।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেওয়া জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নকালে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় নেওয়া অন্যান্য সিদ্ধান্ত তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সড়কপথে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়া-আসার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্বিঘ্নে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কূটনীতিকদের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসা-যাওয়ার পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে সব স্থানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় তোরণ নির্মাণ সীমিত রাখা ও ওভারহেড তোরণ নির্মাণ না করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সজ্জিত করা হবে। বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে মেট্রোপলিটন এলাকা, জেলা সদর উপজেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এছাড়া মহান বিজয় দিবসের দিন জেলখানা, হাসপাতাল, এতিমখানা ও বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে উন্নত মানের খাবার দেওয়া হবে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানসহ প্রয়োজনীয় স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স, উদ্ধার সরঞ্জাম ও অগ্নি নির্বাপণ গাড়ি থাকবে। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে বিজয় দিবস উদযাপনে বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম নেওয়া হবে। সারাদেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানস্থলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার অনুরোধ করা হচ্ছে। মাস্ক পরে অনুষ্ঠানে যেতে হবে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ও প্রয়োজনবোধে অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ পুলিশের আইজি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: