odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

Admin 1 | প্রকাশিত: ২২ February ২০১৭ ০৭:০৬

Admin 1
প্রকাশিত: ২২ February ২০১৭ ০৭:০৬

 জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। মিশনের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহর পর্যন্ত ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান চলে।
এরপর বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। রাত সাড়ে দশটার পর শুরু হয় শহীদ দিবস উপলক্ষে উন্মুক্ত আলোচনা। আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়,যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও কলামিস্টসহ বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালির উপস্থিতিতে নিউইয়র্ক সময় ২১ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে মিশনস্থ অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
রাত ১২টা ১মিনিটে মিশনে স্থাপিত শহীদ মিনারে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দ ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর কনস্যুলেট জেনারেল অফিস, সোনালী এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শেখ হাসিনা মঞ্চ ইন্ক, শেখ রাসেল শিশু-কিশোর সংস্থা, গোপালগঞ্জ জেলা সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং উপস্থিত প্রবাসী বাঙালিগণ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। বীর বাঙালি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল সূর্য।’
স্থায়ী প্রতিনিধি প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা দেশের শুভেচ্ছা দূত। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মাতৃভাষা বাংলার চর্চা এবং বাংলা সংস্কৃতি লালন ও ধারণের মাধ্যমে আপনারা প্রবাসে মহান একুশের চেতনাকে আরও ছড়িয়ে দিতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সময়োপযোগী নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনষ্টিটিউট বিশ্বের লুপ্ত প্রায় ভাষাগুলোকে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে বলে স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হানাহানি ও অসহিষ্ণুতা থেকে মুক্তির পথ হতে পারে মহান একুশ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনার বাস্তবায়ন। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে উঠে আসে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, ভাষা শহীদদের গৌরবগাঁথা, একুশের চেতনা ও আবহমান বাঙালি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক। নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো: শামীম আহসান, প্রবাসী বাঙালিদের সন্তানদের বাংলা ভাষার অনুশীলন আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বরেন, ‘ইংরেজি ভাষাভাষী দেশে ভালো ইংরেজি বলার পাশপাশি ভালো বাংলাও বলতে হবে। তবেই আমরা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে পারবো।’
একুশের শোককে আমরা শক্তিতে পরিণত করে এর সুর বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারা বাংলাদেশের জন্য বিস্ময়কর একটি সাফল্য বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

 

বাসস



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: