ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শাহরিয়ার এসোয়াতিনির সমর্থন চেয়েছেন

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৩৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:৩৩

ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি এমবাবানে এসোয়াতিনির কিংডম-এর পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী থুলিসিলে ডøাডলা’র সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। প্রতিমন্ত্রী এখন এসোয়াতিনি কিংডমে দুই দিনের সরকারি দ্বিপাক্ষিক সফরে রয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে এসোয়াতিনির মন্ত্রী থুলিসিলে ডøাডলা বলেন, এফবিসিসিআই ও এসোয়াতিনির শীর্ষ চেম্বার অফ কমার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে ব্যবসায়িক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এসোয়াতিনি বাংলাদেশের সাথে ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় । বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদার করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনার ওপর জোর দেন। শাহরিয়ার আলম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বাদশাহ তৃতীয় মসোয়াতিকে পৌঁছে দেন। তিনি এসোয়াতিনি সফরে এসে আনন্দিত উল্লেখ করে বলেন, উভয় দেশ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে একে অপরের সাথে সমর্থন ও সহযোগিতা বিনিময় করছে। প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও এসোয়াতিনির মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও এসোয়াতিনি কৃষি-উৎপাদন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনসহ কৃষি ও সামাজিক উন্নয়ন খাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপের সদস্য উল্লেখ করে শাহরিয়ার বলেন, জলবায়ু অভিযোজন এবং প্রশমনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এসোয়াতিনির শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারে। তিনি বলেন, ‘আইটি এবং আইসিটি ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা থাকতে পারে।’ বৈঠকে উভয় পক্ষই এসোয়াতিনিতে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের দ্বারা চুক্তিভিত্তিক চাষের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে সম্মত হন। উভয় পক্ষ কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও খাদ্য শিল্পে সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণে সম্মত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি জাতিসংঘে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে এসোয়াতিনি সরকারের সমর্থন কামনা করেন। মো. শাহরিয়ার আলম এবং এসোয়াতিনির মন্ত্রী মিস থুলিসিলে ডøাডলা বাংলাদেশ এবং এসোয়াতিনির মধ্যে সমন্বিত পরামর্শ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং কৃষি ও কৃষি সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: