odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 5th November 2025, ৫th November ২০২৫

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বাণিজ্য অবকাঠামো সম্প্রসারণ ও উৎপাদন ক্ষমতার ওপর প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ৮ March ২০২৩ ১০:০১

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ৮ March ২০২৩ ১০:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের বাণিজ্য-সম্পর্কিত অবকাঠামো বাড়ানো, উৎপাদনশীল সক্ষমতা গড়ে তোলা এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক হতে অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশাধিকারকে কাজে লাগাতে হবে।

তিনি বলেন, "এই লক্ষগুলো অর্জনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কানেকটিভিটি, মানব মূলধন, বাণিজ্য অর্থায়ন এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়তা এবং বিনিয়োগ প্রয়োজন।"

আজ কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনে "আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক একিভ’তকরণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি" শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক গোল টেবিলের সহ-সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ডব্লিউটিওতে এলডিসি গ্রুপ ইতিমধ্যেই এই বিষয়গুলির উপর তাদের প্রস্তাব দিয়েছে উল্লেখ করে, তিনি বলেন, "এই প্রস্তাবগুলিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত, বিশেষত কোভিড -১৯ মহামারী এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের কারণে।"

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা স্পষ্ট যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা এবং দোহা কর্মসূচীতে নিজেদের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জনে নিজেদের প্রচেষ্টাকে পুনরায়-দ্বিগুণ করতে হবে। এজন্য জাতীয়, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,"আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রতিশ্রুতিগুলো প্রাজ্ঞ, বাস্তবসম্মত এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উৎপাদনশীল ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভালভাবে পরিকল্পিত হওয়া উচিত। আমি আশা করি দোহা কর্মসূচীতে আমরা নিজেদের জন্য যে লক্ষ্যগুলি নির্ধারণ করেছি তা অর্জনে আমাদের আলোচনা ইতিবাচকভাবে অবদান রাখবে৷"
বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার একটি মাল্টিমডাল পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে জাতীয় ও আন্ত:সীমান্ত সংযোগ উন্নত করার ওপর উল্লেখযোগ্য জোর দিয়েছে। "এটি খরচ কমাবে, দক্ষতা বাড়াবে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উন্নয়ন ঘটাবে।"

তিনি বলেন, তাঁরা দক্ষতা উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, মেধা সম্পদের উন্নয়ন এবং তাদের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের নীতি হচ্ছে জাতীয় উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা। "হাতে হাতে কাজ করে, আমরা এখন দেশকে এলডিসি উত্তোরনের বর্তমান পর্যায়ে নিয়ে এসেছি, এবং আমাদের স্বল্প মেয়াদী অগ্রাধিকার হচ্ছে মসৃণ এবং টেকসই উত্তোরন নিশ্চিত করা।"
বুরুন্ডি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট এভারিস্ট এনদাইশিমিয়ে এই ইভেন্টের আরেক সহ-সভাপতি ছিলেন।

অন্যান্যদের মধ্যে এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, পর্যবেক্ষক, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং অন্যান্য স্বীকৃত আন্ত:সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: