odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

তানোরে ৬৫ বিঘা পুকুর ভরাট করে পার্ক নির্মাণ হুমকিতে পরিবেশ

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ১০ March ২০২৩ ০৬:০৪

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ১০ March ২০২৩ ০৬:০৪

সারোয়ার হোসেন :

রাজশাহীর তানোরে ৬৫ বিঘা পুকুর ভরাট ও গাছপালা উজাড় করে পার্ক নির্মান করা হবে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। উপজেলার চান্দুড়িয়া হাড়দহ বিলে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এতে করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ফলে জরুরী ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দ্রুত সময়ের বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষার দাবি উঠেছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার পুকুরের মাটি বহনের জন্য পাকা রাস্তা মাটিতে রুপ নিয়েছে।

মাটি ভরাটের দায়িত্বে থাকা আলিমের ০১৭৬৩…৭০৬ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জায়গার মালিক বড় মাপের ব্যক্তি সে সবার অনুমতি বা ম্যানেজ করে কাজ করছেন। তাছাড়া প্রকাশ্যে এভাবে কাজ করা যাবে না। কোন দপ্তর থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেটা আমাদের বিষয়, যখন কাজ করব তখন কথা হবে, কারো ক্ষমতা নেই বন্ধ করার, ডিসি, এসপি ও ইউএনওকে ম্যানেজ করা আছে বলে প্রচুর দম্ভক্তি প্রকাশ করেন তিনি।

রাজশাহী পরিবেশ দপ্তরের সহকারি পরিচালক কবির হোসেন জানান, জমির শ্রেণী কি সেটা দেখে বলা যাবে। শ্রেণী কৃষি শহরের হাসান নামের একব্যক্তি পুকুর ও পার্ক তৈরি করেছেন ও তিনি পুকুরগুলো আরেকজনের কাছে বিক্রি করেছেন তিনি ভরাট করছেন অবহিত করা হলে তিনি জানান এভাবে ভরাট করা যাবে না। সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দেখা যায়, উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউপির হাড়দহ বিলে ও তানোর টু রাজশাহী রাস্তার দক্ষিণে ৬৫ বিঘা পুকুরে ভরাট কাজ চলছে। মাটি টেনে সমান করার মেশিন রয়েছে। ওই বিলে শহরের হাসান নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘ কয়েক যুগ আগে ১৩০ বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর করেন। পরে নাইস গার্ডেন নামে পার্ক তৈরি করেন। অবশ্য পার্ক করলেও হাসান কোন পুকুর ভরাট করেননি। কিন্তু হাসান পার্কের পশ্চিম দিকে ৬৫ বিঘা পুকুর বিক্রি করেন নওগাঁ জেলার পত্নীতলা এলাকার প্রভাবশালী জুয়েল নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি কিনে পুকুর ভরাট ও শতশত বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিধন করছেন। প্রায় অর্ধেক ভরাট হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবারে কাজ বন্ধ ছিল।

স্থানীয়রা জানান, বিলের জমি এক দুটি করে চাষাবাদ হত। সেই সব জমিগুলো কিনে হাসান পুকুর করেছিলেন পরে পার্ক করেন। কিন্তু কোন পুকুর ভরাট হয়নি। অথচ জুয়েল দেদারসে শতশত গাছপালা নিধন পুকুর ভরাট করছেন। যার কারনে খা খা অবস্থা হয়ে পড়েছে আশপাশের এলাকা। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। এমনকি হেরো ট্যাক্টরে করে মাটি বহনের কারনে পাকা রাস্তা চরম ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। অথচ পুরাতন পুকুরের মাটি বহন করতে দেয় না প্রশাসন। একই প্রশাসনের কেন দ্বি মূখী আচরন হবে এমন নানা প্রশ্ন এলাকাবাসীর। নাকি টাকা নামক বস্তুর কাছে সবাই বিক্রি। এমনিতে নাইস গার্ডেনে নিয়োমিত অসাজিক কাজ চলে। তার পাশ্বে পার্ক ও আবাসিক হোটেল হলে অনৈতিক কাজ বেড়েই যাবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দ্রুত একাজ বন্ধ করা উচিৎ। শুধু এখানেই শেষ না রাস্তার সরকারী নয়নজলিও ভরাট করেছেন।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও সঞ্জয় কুমার মোহন্ত জানান, পরিবেশের ক্ষতি করে পুকুর ভরাটের কোন সুযোগ নেই। দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল জলিল জানান, পুকুর ভরাট করার সুযোগ নাই, লোকেসান কোথায় জানতে চান তিনি, জানানো হয় চান্দুড়িয়া ইউপি হাড়দহ বিলে, জেনে জানান দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: