odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

সিরাজদিখানে অনুদান প্রদান না করেই  রেজ্যুলিউশনের কপি জাল করে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দাবীর অভিযোগ 

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ১২ March ২০২৩ ০০:২৮

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ১২ March ২০২৩ ০০:২৮

মো. হামিদুল ইসলাম লিংকন

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অনুদান প্রদান না করেই  রেজ্যুলিউশনের কপি জাল করে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দাবীর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৯৯১ সালে ৪০হাজার টাকা অনুদান প্রদান না করেই রেজ্যুলিউশনে কপি জাল এবং তৎকালীন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির স্বাক্ষর ভুয়া লোক দ্বারা স্বাক্ষরিত করিয়ে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দাবির অভিযোগ উঠেছে ডি. এম মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে। 

বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক শামসুদ্দিন মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাবিবুল্লাহ খন্দকার তবে বর্তমানে ডি. এম মাহাফুজুর রহমান কি ভাবে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করছে তা আমার জানা নেই। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ডি এম মাহফুজুর রহমান কোন টাকাই দেয়নি। বর্তমানে সে যেই রেজুলেশন দেখাচ্ছে এই রেজ্যুলিউশন  সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই নেই। আর রেজুলেশনে আমার  যে স্বাক্ষর দেখা যাচ্ছে তা আমার না। এ স্বাক্ষর জালিয়াতি করে সে বর্তমানে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করছে। 

এ বিষয়ে বিদ্যালয় সাবেক সভাপতি শেখ মনির হোসেন মিলন বলেন, গত ২০১৯ সালে আমি যখন সভাপতি নির্বাচিত হই। তখন মাহফুজুর রহমান নিজেকে দাতা সদস্য দাবি করে আদালতে মামলা করে যার দেওয়ানী মোকদ্দমা নং- ২৪৭/১৯। রেজুলেশনে সাক্ষর জাল করায় সেই মামলায় সে হেরে যায়। পরবর্তীতে আমার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বিদ্যালয়ের নতুন কমিটি আসলে। পুনরায় সে সেই ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে দাতা সদস্য হওয়ার পাঁয়তারা করছে। 

অভিযুক্ত ডিএম মাহফুজুর রহমান বলেন, আমি,  আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও  লতব্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়।  আমি,মরহুম হাবিবুল্লাহ খন্দকার, হাজী আব্দুল মান্নান মিলে লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। কিন্তুু তৎকালিন প্রধান শিক্ষক আমাদের যথাযথ সন্মান প্রদর্শন করে নাই। যিনি এখন নারী ও শিশু নির্যাতন এর অভিযোগে স্কুল থেকে বহিস্কার আছে ও তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে। আমি আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য কোর্টে মামলা করি  যা এখনও চলমান। বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি মাহাবুব হোসেন রন্ঠু বলেন, আমরা তাকে কোন সদস্য বানাইনি তাই এই বিষয়ে আমাদের কোন মন্তব্য নেই।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: