odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

তানোরে কৃষি প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণে অনিয়ম, কৃষি কর্মকর্তার বদলির দাবি

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ২২ March ২০২৩ ০৪:১০

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ২২ March ২০২৩ ০৪:১০

সারোয়ার হোসেন :

রাজশাহীর তানোরে কৃষি প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের বিরুদ্ধে। সেই সাথে কৃষি কর্মকর্তার শাস্তি ও জরুরী ভাবে দ্রুত বদলির দাবি জানিয়েছেন প্রকৃত কৃষকরা।

গত ২০মার্চ সোমবার উপজেলার প্রায় ৪হাজার কৃষককে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী। এসময় উপস্থিত এমপির কাছে একাধিক প্রকৃত কৃষকরা কৃষি প্রণোদনা বিতরণের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেন।

কৃষকদের অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তা তার মাঠ পর্যায়ের বিএস কর্মকর্তাদের দিয়ে নামমাত্র কৃষি প্রণোদনার তালিকা তৈরি করে প্রকৃত কৃষকদের সহায়তা প্রদান না করে নিজের ইচ্ছে মতো অকৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে প্রতিনিয়ত সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। এমনকি কৃষক না হয়েও যাদের কৃষক বানিয়ে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। তারা সকলে সেই কৃষি প্রণোদনার সার বীজ খুচরা সার ডিলারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। অথচ প্রকৃত কৃষকরা কৃষি প্রণোদনা সহায়তা পাচ্ছেন না। যা শুধু একমাত্র কৃষি কর্মকর্তার সেচ্ছাচারীতায় এসব অনিয়ম দূর্নীতি হচ্ছে।

জানা যায়, একজন কৃষক এক কেজি পেঁয়াজ বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ২০ কেজি এমওপি সার, ১০০ টাকার বালাইনাশক এবং জমি প্রস্তুতি, সেচ ও বাঁশের বেড়া তৈরিতে বিকাশের মাধ্যমে ২ হাজার ৮০০ টাকা পাবেন। সেই সঙ্গে ২ হাজার ১০০ টাকার পলিথিন ও ১৫০ টাকার নাইলনের সুতা দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেখানেও কৃষক প্রতি বরাদ্দের ২ হাজার ১০০ টাকার পলিথিনের বদলে দিয়েছেন বড়জোর ৫০০ টাকার পলিথিন। ১৫০ টাকার নাইলনের সুতার বদলে দিয়েছেন ৬০ টাকার প্যারাসুট সুতা। আর এসব কৃষি প্রণোদনা গুলো যেসব কৃষকদের দেয়া হয়েছে তারা কেউ প্রণোদনা গুলো ব্যবহার না করে প্রায় কৃষক বিক্রি করে দিয়েছেন। যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে এসব অনিয়ম দুর্নীতি।

তানোর পৌরসভার বেশকিছু কৃষক অভিযোগ করে বলেন, তানোর পৌরসভার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী বিএস এমদাদুল হকের মাধ্যমে কৃষি কর্মকর্তা যোগসাজশ করে এসব কৃষি প্রণোদনার সার বীজ গুলো নামমাত্র ভুয়া কৃষকের তালিকা তৈরি করে আত্মসাৎ করে আসছেন বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে করা কৃষকের সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কৃষি কর্মকর্তা কৃষকের কিসে ভালো আর কিসে খারাপ আমি জানি,এমপি সাহেব না বুঝে কৃষকের কথায় আমাকে গালাগালি করেছে। তিনিতো আর মাঠ পর্যায়ে থাকেন না সে কি বুঝবে। আমরা সারাদিন মাঠেঘাটে থাকি কে কৃষক আর কে অকৃষক আমার চাইতে এমপি সাহেব বেসি চিনেন না। তাই আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আমাকে ক্ষমতার দাম্ভিকতা দিয়ে গালাগালি করেছেন। আমি বিষয়টি আমার উদ্ধর্তন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি,দেখা যাক তারা এমপি সাহেবের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহন করছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: