odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

তানোরে দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে মৃত শিক্ষকের অবসর ভাতা উত্তোলনের চেষ্টার অভিযোগ পুত্রের

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ১৩ April ২০২৩ ০৬:২৪

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ১৩ April ২০২৩ ০৬:২৪

সারোয়ার হোসেন,তানোর প্রতিনিধি :

রাজশাহীর তানোর উপজেলার মোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৃত এনামুল হকের অবসর কালীন ভাতা অন্য ওয়ারিশদের ফাঁকি দিয়ে উত্তোলনের চেষ্টা করছেন দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলি বেগম বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় মৃত শিক্ষক এনামুল হকের প্রথম স্ত্রীর সন্তান সোহানুল হক পারভেজ বাদি হয়ে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এছাড়াও জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার,পাঁচান্দর ইউপি চেয়ারম্যান, সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারসহ বিভিন্ন দপ্তরে চলতি মাসের ( ১১ এপ্রিল) অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করেছেন। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার মোহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এনামুল হক চাকুরীরত অবস্থায় প্রথম স্ত্রীর ২ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তান রেখে ১২ এপ্রিল ২০২০ সালে মৃত্যু বরণ করেন।

এঅবস্থায় মৃত শিক্ষক এনামুল হকের হিসাব নাম্বারটি বন্ধ করে তার ছোট স্ত্রী লাইলি বেগম তার নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্য ওয়ারিশদের ফাঁকি দিতে নিজের নামে একটি হিসাব খুলেন যাহার নাম্বার( ৪৬২৩৫০১০২৪০৮১)। মৃত শিক্ষক এনামুল হকের কল্যান ভাতার টাকা ছোট স্ত্রীর নামীয় হিসাব নাম্বারে আসলে তা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই কল্যান ভাতার টাকা মৃত শিক্ষক এনামুল হকের লোন পরিশোধ করে সমন্বয় করেন। বর্তমানে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের অবসর কালীন প্রায় সম্ভাব্য ৩০ লাখ টাকা ছোট স্ত্রী লাইলী বেগমের হিসাব নাম্বারেই আসবে। মৃত শিক্ষক এনামুল হকের অবসর কালীন ভাতার টাকা তার স্ত্রী একাই আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে।

এনিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বসে মৃত এনামুল হকের ঋণ পরিশোধ করে যে টাকা আসবে তা ওয়ারিশগনের মধ্যে ভাগ বন্টন করার প্রতিশ্রুতি ও যৌথ একাউন্ট করার কথা থাকলেও তিনি নিজ নামে একাউন্ট করেন, সকল বিচারকগনের সামনে সই স্বাক্ষরও করেন কিন্তু এখন তিনি নিঃস্বার্থে টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করছেন। এতে করে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের অবসর কালীন ভাতার টাকা সকল ওয়ারিশগনের মধ্যে অংশ মোতাবেক বন্টন করা আবশ্যক। বিধায় বিষয়টি সৃষ্ঠ সমাধানের জন্য মৃত শিক্ষক এনামুল হকের বড় পুত্র তানোর থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এবিষয়ে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী লাইলি বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার নামে নমিনী করা আছে, তাই অবসর কালীন ভাতার টাকা আমিই একাই পাবো,এখানে কারো কোন কিছু করার নাই বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে মৃত শিক্ষক এনামুল হকের বড় পুত্র সোহানুল হক পারভেজ বলেন, ওয়ারিশগনের মধ্যে যেন অবসর কালীন ভাতার টাকা সুষ্ঠ ভাবে বন্টন করা হয়, না হলে মৃত এনামুল মাষ্টারের বাড়ি জব্দ করা হোক, এর জন্য তিনি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এটি শিক্ষা অফিসার ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিষয় আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: