odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

তানোরে ঝড়বৃষ্টির আতংক মাথায় নিয়ে কৃষকের বোরো ধান কাটা মাড়াই

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ৩ May ২০২৩ ০৩:০৪

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ৩ May ২০২৩ ০৩:০৪

সারোয়ার হোসেন,তানোর:

প্রতিনিয়ত ঝড়বৃষ্টির আতংক মাথায় নিয়ে রাজশাহীর তানোর উপজেলা জুড়ে চলছে কৃষকের বোরো ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। আকাশের আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ঝড়বৃষ্টির মধ্যে তাড়াহুড়ো করে ভিজে ধান ও খড় বাড়িতে তুলতে হচ্ছে কৃষকদের। তবে ঝড়বৃষ্টি হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা ধান কাটতে আসায় অনেকটা স্বস্তির মধ্যে রয়েছে কৃষকেরা। সপ্তাহ দু-এক দিনের মধ্যে প্রায় সব বোরো ধান কাটা ও মাড়াই করে সুষ্ঠু ভাবে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা বলে আসা করছেন কৃষি দপ্তর।

তানোর পৌর এলাকার বেশকিছু কৃষকরা জানান,প্রতিদিন যে ভাবে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে তাতে বহিরাগত শ্রমিকরা না আসলে স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে চরম হয়রানির শিকার হতে হতো কৃষকদের। তারা আরো বলেন, এ বছর বোরো ধানের যে পরিমাণ ফলন হচ্ছে,তা দু'পাঁচ বছরেও এমন ফলন পাননি কৃষকরা। এ বছর বোরো জমিতে প্রতি বিঘায় সর্বনিম্ন ৩০থেকে ৩৫ মন করে বোরো ধানের ফলন হচ্ছে। পাশাপাশি বাজারে দামও ভালো থাকায় ব্যাপক খুশি হলেও দাম ও আবহাওয়া নিয়ে অনেকটাই শংকিত রয়েছে কৃষকেরা। উপজেলার বিভিন্ন বোরো জমির মাঠ ঘুরে দেখা যাচ্ছে, শ্রমিকরা জমি থেকে ধান কেটে মাথায় ও বাঁশের ভারে করে বহন করছেন বোরো ধান। যাদের দূরের জমি তারা ট্রাক্টরে বা গরু মহিষের গাড়িতে করে বহন করছেন। অনেকে ঝড়বৃষ্টির ভয়ে দ্রুত জমি থেকে ধান কেটে খইলানে পালা ও হাঙ্গা দিয়ে রেখে দিচ্ছেন।

তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির যশপুর গ্রামে ধান কাটতে আসা শ্রমিক আলমগীর, জব্বার, অহিদুল হক জানান, তারা ২০জন শ্রমিক এক সাথে বোরো ধান কাটতে এসেছেন। তারা প্রতি বিঘা জমিতে ৪ থেকে ৫ মন করে মুজরীতে ধান কেটে দিচ্ছেন। যে সব জমি একেবারেই নিচে সেগুলো থেকে ধান বহনে প্রচুর কষ্ট হচ্ছে। ওই সব জমিতে বিঘায় ৫ মন থেকে ৬মন করে ধান নেওয়া হচ্ছে। তানোর গোল্লাপাড়া বাজারের ধান ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, তানোরে পাকি ১১শ টাকা মন ধান ক্রয় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ধানের দাম আরো বাড়বে। আমাদের উপজেলায় কাচি পাকি দুই ধরনের হিসাব হয়। ২৮ কেজিতে কাচি ১ মন, বাজার মুল্য ৭০০ টাকা, আর ৩৭ কেজিতে পাকি ১ মন বাজার মুল্য ১১০০ টাকা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, এবছর বোরো চাষে বাম্পার ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে আকাশের আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকেরা শুকনো ধান ও খড় দুটোই ভালো ভাবে পেতো। তার পরেও আশা করা যাচ্ছে,দু-এক দিনের মধ্যে আকাশের আবহাওয়া কৃষকের অনূকূলে আসবে।

 

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: