odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 8th November 2025, ৮th November ২০২৫

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি নেতার মৃত্যু

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ১৭ September ২০২৩ ০৫:১৬

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ১৭ September ২০২৩ ০৫:১৬

অধিকারপত্র ডেক্স:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ (৬৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।

জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও হামলা-মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন তিনি। পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পাকশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আবুল কালাম আজাদ।

আজ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা তিনটার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে, শনিবার দুপুরে তিনি অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। সেখানকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সেখানেই তিনি মারা যান। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল জানান, আবুল কালাম আজাদ বেশ কিছুদিন ধরে থেকে অসুস্থ ছিলেন। তাকে কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শনিবার বেলা আনুমানিক দেড়টার দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর বেলা তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, ‘তার মৃত্যুর খবর পরিবারকে জানানো হয়েছে। বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া আছে। কালামের ময়নাতদন্ত হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ নেওয়ার আবেদন করতে হবে। এরপর আমরা লাশ দিতে পারবো।’

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে রেল থানায় মামলা হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর পর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ রুস্তম আলী ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২৫ জনের যাবজ্জীবন, ১৩ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড এবং ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পাকশীর বাঘইলে।

এদিকে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগে থেকে দৃষ্টিহীন ও কারাগারে অভ্যন্তরীণ অবস্থায় প্রোস্টেট, হার্ট, লিভারসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জটিল সমস্যা ছিল। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন।

আবুল কালাম আজাদের ছেলে কমল জানান, কারাগারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকশীর যুক্তিতলা গ্রামের কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: