ঢাকা | বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

জনগণকে সেবা প্রদান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডিসিদের প্রতি আইন উপদেষ্টার আহ্বান

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০০

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০০

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জনগণকে সেবা প্রদান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ডিসিরা মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন দেখেন এবং সেখানে কি সমস্যা সে সম্পর্কে ভালো জানেন। রাষ্ট্রের এতো বড় একটি রিসোর্সকে বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণকে নিপীড়ন, অত্যাচার ও তাদের অপকর্ম জায়েজ করার জন্য ব্যবহার করেছিল।

আজ মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনে আইন, বিচার বিভাগ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত পঞ্চম কার্য-অধিবেশন শেষে আইন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আইন, বিচার ও সংসদ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরো বলেন, ডিসিদের বিবেক, সংবিধান ও আইন অনুযায়ী চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অতীতে ডিসিদের জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটি আইন এবং সংবিধানের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে মেধাবীরাই ডিসি হিসেবে প্রশাসনে কাজ করেন। তারা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রশাসনে আসেন।

ডিসিদেরকে জনগণকে সেবা দেয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা সেবা প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হলে দেশ আরও সুন্দর হবে। তারা সংবিধান অনুযায়ী জনগণের সেবা করার কাজে সচেষ্ট থাকবেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করি ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসবে তারা জনগণকে নিপীড়ন করার কাজে ডিসিদের ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ডিসিরা বলেছেন অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের গ্রেফতারের পরে তারা দ্রুত জামিনে বের হয়ে আসেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকারের অনেক মামলা থাকে, এ ক্ষেত্রে আমাদের সলিসিটর উইং যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটি ডিসিদের বলেছি।

তিনি বলেন, ডিসি অফিসে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত রয়েছে। সেখানে স্থান সংকুলানের সমস্যা সমাধানে কি করা যায় সে বিষয়ে কথা বলেছি।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে আমরা ডিসিদের অনুরোধ করেছি যে ছাত্ররা এস এস সি ও এইচ এস সি পাস করার পরে কয়েক মাস সময় পায়। ওই সময়টাতে ডিসিরা যেন ছাত্রদেরকে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে ডিসিরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি) যারা যেতে চান তাদের সবার যেন ডাটাবেজ করা হয়। আর যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে তাদের ডাটাবেজ আছে।

উপদেষ্টা বলেন, যারা বিদেশে যেতে চায় তাদের ডাটাবেজ করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অচিরেই এ কাজ শুরু হবে। সরকারি যে রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে তা আরও শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুধু টিটিসি না, দেশে শুধু ভবন ও কর্মচারি-কর্মকর্তা আছে, সেবা নেই। গত ছয় মাসে এটিই আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমাদের চেষ্টা সেখানে ভালো কিছু করার।

এসময় ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, সুপ্রীমকোর্ট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন অ্যাকশনে যেসব রায় দিয়েছেন সেসব রায় পর্যালোচনা করার জন্য বলা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: