odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 7th November 2025, ৭th November ২০২৫
আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে সর্বস্তরের ভোট ও ভাতের অধিকার সমুন্নত করেছে

৭৫ এর ১৫ আগস্ট জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল :প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২১ July ২০১৮ ২১:২৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২১ July ২০১৮ ২১:২৬

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি কখনও ভাবিনি আওয়ামী লীগের মতো এত বড় দলের সভাপতি হবো। আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আমি অবশ্য তা চাইও নি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অর্জন ত্যাগের মাধ্যমে হয়েছে। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আমার মায়েরও অবদান রয়েছে। আমার মা সংসারটাকে একা সামলিয়েছেন। তিনি তো দেশের কল্যাণ ছাড়া কিছু চান নি। কিন্তু তাকেও প্রাণ দিতে হয়েছে। আজ শনিবার বিকাল পৌনে ৫টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত গণসংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন।জাতির পিতার খুনি ও যুদ্ধাপরাধীর বিচারের মধ্য দিয়ে দেশ কলুষমুক্ত হয়েছে.
মাদক নির্মূল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদকের প্রভাব থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। মেধাবী ছাত্র সমাজকে মাদকের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। 
 
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যারা বলে ‘নৌকা ঠেকাও’ তাঁদের লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, তাহলে কি তারা ঐ রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধীদেরকেই আবার ক্ষমতায় বসাতে চান?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আবার একটা শ্রেণী রয়েছে যাদের কোন উন্নয়নই চোখে পড়ে না। আবার কেউ কেউ বলেন, নৌকা ঠেকাতে হবে। আমার প্রশ্ন নৌকা কেন ঠেকাতে হবে। নৌকা ঠেকিয়ে কি ঐ রাজাকারদের, যুদ্ধাপরাধীদেরকেই আবার ক্ষমতায় আনবেন?’
প্রধানমন্ত্রী আজ বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁর সম্মানে আয়োজিত গণসংবর্ধনায় একথা বলেন।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তোরণ, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ, অষ্ট্রেলিয়ায় গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ এওয়ার্ড অর্জন এবং আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডিলিট ডিগ্রী’ অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই গণসংবর্ধনার আয়োজন করে। জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সম্মাননা পত্র পাঠ করেন। তিনি পরে সেই সম্মাননাপত্র প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।
এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনার অনুষ্ঠানের ভেন্যুতে পৌঁছলে দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনতা হাত নেড়ে, পতাকা উচিয়ে মুহুর্মুহু শ্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সংবর্ধনার আনুষ্ঠানিকতা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ, পদ্মা সেতুসহ দেশের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকার জন্যই এই আয়োজন ক্ষমতাসীন দলের।

১৪ লক্ষ প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে , ১০ লক্ষ প্রতিবন্ধী কে প্রতিমাসে ৭০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছে, শিক্ষাকে বহুমুখীকরণ, সহ প্রতি এলাকায় স্কুল কলেজ, হিজ্রাদের শিকৃতি,চা শ্রমিকদের ভাতা, ২ কোটি কৃষক কে ব্যাংক একাউন্টস সহ ১ কোটি বর্গা চাষি কে বিনা জামানতে ঋন দেওয়া হচ্ছে, তাঁর লক্ষ্যটাই দেশের উন্নয়ন উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যারা মনে করেন প্রবৃদ্ধি অর্জন ভাল নয়, দেশ উন্নয়নশীল হলে ভাল নয়, তাদেরকে আমার সন্দেহ হয়, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে কি না বা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না। নাকি তারা ঐ স্বাধীনতা বিরোধীদের পদলেহনকারী সেটাই আমার প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছে, এই নৌকায় ভোট দিয়েছে বলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, এই নৌকায় ভোট দিয়েছিল বলেই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল বলেই বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে এবং আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, আমরা পরমাণু বিদ্যুৎ ক্লাবে পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা স্যাটেলাইট যুগে পৌঁছাতে পেরেছি, আজ বাংলাদেশে দারিদ্রের হার ২২ ভাগে নেমে এসেছে এবং দারিদ্রের হার আরো হ্রাস করে বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্রমুক্ত করতে পারবো ইনশাল্লাহ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: