odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 7th November 2025, ৭th November ২০২৫

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলি, নিহত সরোয়ার বাবলা: হুমকির পরই প্রাণ গেল

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৬ November ২০২৫ ২৩:৫৯

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৬ November ২০২৫ ২৩:৫৯

অধিকার পত্র ডেস্ক │ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনি গণসংযোগে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সরোয়ার হোসেন বাবলা নামে এক ব্যক্তিকে। নিহত সরোয়ারকে স্থানীয়ভাবে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতেন।

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বায়েজিদ থানার চালিতাতলী এলাকায়। গুলিতে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

হত্যার আগে নিয়মিত হুমকি

নিহতের ভাই আজিজ হোসেন জানান, সরোয়ারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল স্থানীয় সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তার সহযোগীরা।
তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ছোট সাজ্জাদের লোকজন ফোনে হুমকি দিয়ে বলতো— ‘যা খাওয়ার খেয়ে নে।’ আমরা সতর্ক ছিলাম। কিন্তু বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে নিরাপত্তা থাকবে ভেবে ভাই অংশ নিয়েছিল।”

আজিজ দাবি করেন, ছোট সাজ্জাদের সহযোগী মো. রায়হানসহ কয়েকজন সরাসরি এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।

 দীর্ঘদিনের বিরোধ ও পুরনো রেষারেষি

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সরোয়ার ও ছোট সাজ্জাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকা দখল ও চাঁদাবাজি কেন্দ্রিক বিরোধ চলছিল।
সরোয়ারের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে। তিনি সম্প্রতি কারামুক্ত হন এবং এলাকায় আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠেন।

 বিএনপি বলছে, সরোয়ার তাদের কেউ নন

নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, “সরোয়ার বাবলা বিএনপির কোনো কমিটিতে নেই। গণসংযোগে অনেক মানুষ আসে, সে তাদের একজন।”

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরোয়ারের সঙ্গে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী, আবু সুফিয়ান ও এরশাদ উল্লাহর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এমনকি তার বিয়েতে বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ বলছে, মূল লক্ষ্য ছিল বাবলা

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “অপরাধীদের টার্গেট ছিল সরোয়ার বাবলা, বিএনপি প্রার্থী নয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে, দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”

তিনি আরও জানান, “এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অপরাধীরা মোটরসাইকেলযোগে এসে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।”

 পটভূমি

সরোয়ার বাবলা ও ছোট সাজ্জাদ দুইজনই চট্টগ্রামজুড়ে আলোচিত চাঁদাবাজ চক্রের নেতৃত্ব দিতেন।
২০১৫ সালের পর থেকে সরোয়ার ছোট সাজ্জাদের প্রভাববলয় থেকে সরে গিয়ে নিজস্ব বাহিনী গঠন করেন। এরপর থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: