odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 7th November 2025, ৭th November ২০২৫

সম্ভাবনাময় সোনার বাংলা গড়ায় সম্পৃক্ত হতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি স্পিকারের আহবান

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১২ October ২০১৮ ১৬:৪৩

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১২ October ২০১৮ ১৬:৪৩

তরুণ প্রজন্মকে দেশ গড়ার কাজে সম্পৃক্ত হয়ে আগামী দিনে একটি সম্ভাবনাময় সোনার বাংলা গড়ার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীন বাংলাদেশ রেখে গেছেন, যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, আসুন তাঁর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী দিনে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদা সম্পন্ন দেশ ও জাতির আসনে অধিষ্ঠিত করি। এটাই হোক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনের প্রত্যয়।”
জাতীয় জাদুঘরে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে হাসুমনি’র পাঠশালা আয়োজিত চিত্রাংকন কর্মশালা ও সূঁচিকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে উদ্বোধক হিসেবে স্পিকার এসব কথা বলেন।
হাসুমণি’র পাঠশালার সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরেণ্য শিল্পী অধ্যাপক সমরজিৎ রায় চৌধুরী ও জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. শওকত নবী ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্বিবদ্যালয়ের ফিল্ম এবং টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ আহমেদ হালিম।
স্পিকার বলেন, আজকের বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে দিকে পা বাড়িয়েছে। এখন নি¤œমধ্যম আয়ের দেশ, ২০২১ সালে রূপকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ হবে, ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালে মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবে।
তিনি বলেন, “এই যে নেতৃত্বের পথ ধরে একটি জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া এবং এই জাতির মেধা প্রতিভা ও অপর সম্ভাবনাকে বিকশিত করার যে ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করা সে কাজটি অত্যন্ত সুনিপুনভাবে করে চলেছেন শেখ হাসিনা এবং সেখানে তাঁর অত্যন্ত সাহসিকতা সম্পন্ন দৃঢ় চেতা ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়।”
শিরীর শারমিন চৌধুরী বলেন, এই উত্তরণ ও অগ্রগতির পথে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজটি অত্যন্ত দুরূহ ছিল। ১৯৭৫ সালে পর দেশে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের গণতান্ত্রিব অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি নিরন্তর সংগ্রাম করে গেছেন। গনতান্ত্রিক পরিবেশে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রগতি ও সংগ্রামের পথচলার মধ্যে বারবার তাঁর জীবনে আঘাত এসেছে। কিন্তু কোন কিছুই তাঁকে নিবৃত করতে পারেনি। তিনি তাঁর লক্ষ্যে অবিচল থেকে কাজ করে গেছেন, ঠিক যেমনিভাবে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুকেও বারবার কারারুদ্ধ করে, এমনকি ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে গিয়েও নিবৃত করা যায়নি। বাংলার মানুষের স্বাধীনতার জন্যে তিনিও অবিচল থেকে কাজ করে গেছেন।
তিনি বলেন, “দেশ গড়ার সংগ্রামে যিনি নিজেকে নিবেদিত করেছেন, যিনি বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিটি মানুষের জীবন মান উন্নয়নে যার সমস্ত দর্শণ এবং সংবিধানের যে অঙ্গিকার একটি শোষন, বৈষম্যহীন ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে যিনি কাজ করছেন তাঁর জন্মদিন এমনভাবেই উদযাপন করা উচিত যেখানে সৃষ্টিশীল কাজের প্রদর্শণী এবং যারা এই সৃষ্টিধর্মী কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদেরকে সামনে নিয়ে আসা।”
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত। নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, তাদেরকে তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নারীরা যেন পিছিয়ে না থাকে সেসব কর্মপরিকল্পনা গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে এ ধরনের সৃষ্টিশীল কাজকে আরো উৎসাহিত করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, সূঁচিশিল্পের পেছনে যে নারীরা অবদান রাখছেন তাদেরকে আরো বেশি অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা এবং প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন। যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদের সুপ্ত প্রতিভা এবং মেধা রয়েছে তা আরো বিকশিত করা যায়।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সার্বিক ও সামগ্রিক চিন্তাভাবনা নিয়ে বাংয়লাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, শুধু অর্থনৈতিক অগ্রগতি নয়, শুধু বিদ্যুৎ বা সড়ক নির্মাণের অগ্রযাত্রা নয়, একটি জাতির সার্বিক অগ্রযাত্রার মহানায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হাসুমনি’র পাঠশালার প্রথম বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই কর্মশালায় আঁকা ৭১টি প্রতিকৃতি ও জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী ১০১টি সুঁচিশিল্প নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় জাদুঘরে প্রদর্শনী সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: