
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে শুরু হচ্ছে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা - ২০১৮। ০১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলার উদ্বোধন করবেন।
আজ রোববার মেলা কমিটির সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে রাজধানীর মানুষ অংশ নেন। আর এটা শুধু আমাদের রফতানি-ই বাড়ায় না, মানুষের বিনোদনেরও অন্যতম কেন্দ্রেও পরিণত হয়। ‘প্রতিদিনই লাখ লাখ মানুষ মেলায় ঘুরতে আসেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল ১০ টায় বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন। এবারের বাণিজ্য মেলায় ছোট বড় মিলিয়ে সর্বমোট ৫৮৯টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকবে। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট প্যাভিলিয়ন থাকবে ১১২টি। ৭৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন ছাড়াও থাকবে ৪০০টি স্টল। “মেলায় ১৭টি দেশের মোট ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের স্টল বা প্যাভিলিয়ন থাকবে। এছাড়া দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য থাকছে ২টি শিশু পার্ক, সুন্দরবনের আদলে একটি ইকো পার্ক।” ক্রেতা-দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় মেলায় পুলিশ ও র্যাবের ওয়াচ টাওয়ারসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার সর্বমোট ৬০টি অবকাঠামো ও সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরো জানান, মেলা প্রাঙ্গণে পর্যাপ্ত আনসার ও ভিডিপি, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, বিজিবি এবং র্যাব নিয়োজিত থাকবে। আগত দর্শনার্থীদের যে কোনো অভিযোগ শোনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে মেলা প্রাঙ্গণে সার্বক্ষণিক একজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। মেলা প্রাঙ্গণ পর্যবেক্ষণের জন্য ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ‘এছাড়া মেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গাড়িসহ বাহিনীর সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রোভার স্কাউটের সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।’মেলার নতুনত্ব নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “বাণিজ্য মেলার সম্পূর্ণ ভেন্যুকে পর্যায়ক্রমে ৩৬০ ডিগ্রি ভার্চুয়াল ট্যুরের আওতায় আনা হবে। থাকবে গুগল স্ট্রিট ভিউ, ওয়েবসাইট, ফেসবুকে দেশ-বিদেশ থেকে মেলা ভ্রমণের অনন্য অভিজ্ঞতা উপভোগের ব্যবস্থাও।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বানিজ্যমন্ত্রী বলেন, “বাণিজ্য মেলায় পদ্মাসেতুর আদলে গেট করার কারণ হচ্ছে :এটি আমাদের গর্ব। নিজস্ব অর্থায়নে”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: