odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Wednesday, 22nd October 2025, ২২nd October ২০২৫

লায়লাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৪ February ২০২৫ ২৩:৫৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৪ February ২০২৫ ২৩:৫৩

লায়লা আখতার ফরহাদকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। আজ ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত আসামির অব্যাহতি আবেদন নাকচ করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

আজ আসামি মামুন আদালতে হাজির ছিলেন। এরপর তার আইনজীবী মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মারধর, হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মামুনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন লায়লা আখতার ফরহাদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রিন্স মামুনের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় লায়লার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। তখন থেকে প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারা ডিওএইচএসের বাসায় বাস করতে থাকেন।

এরপর থেকে প্রিন্স মামুন বিভিন্ন অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায়সময়ই মাদকসেবন করে গভীর রাতে বাসায় আসতেন। অশ্লীল ভাষায় কথা বলতেন।

এমনকি মাঝে মধ্যে লায়লাকে মারপিট করতেন। বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি আদায়ের পাঁয়তারা করতেন মামুন।

২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাসায় ফেরেন তারা। এ সময় মামুনসহ আরও দুজন মদপানের জন্য মিরপুরে যাওয়ার পরামর্শ করেন। লায়লা তাকে নিষেধ করেন এবং বাধা দেন। এতে মামুন উত্তেজিত হয়ে লায়লাকে গালি দেন। গালি দিতে নিষেধ করলে মামুন লায়লাকে মারধর করেন ও হত্যার চেষ্টা করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ। পরে ওই বছরের ৩ জুন অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। তবে পলাতক থাকায় প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করা হয়। পরদিন ৪ জুন মামুন আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: