ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশ-ইফাদ ৯২.০৩ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:১০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:১০

বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৬টি জেলার দুস্থ মানুষের অবকাঠামো ও বাজার উন্নয়নে ৯২.০৩ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।


আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ইফাদ সদর দফতরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং ইফাদ প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হুয়াংবো চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন।


এ সময় অর্থমন্ত্রী এ এম এ মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও উপস্থিত ছিলেন।


চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক বলেন, এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৬টি জেলার দুস্থ জনগণের অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন এবং তথ্য সংক্রান্ত একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। জেলাগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা ও জামালপুর। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের কাজ এ বছর শুরু হবে। এতে এই জেলাগুলোর ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।


শহিদুল হক বলেন, প্রকল্পের মূল ব্যয়ের ৬৩.২৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ১.২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান হিসেবে ইফাদ প্রদান করবে। বাকি ২৭.৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ সরকার প্রদান করবে।

পররাষ্ট্র সচিব আরো বলেন, আজ রোমে ইফাদ গভার্নিং কাউন্সিলের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন দেশ ইফাদকে অর্থ দেয়ার অঙ্গিকার করে। 
তিনি বলেন, এই অর্থ ইফাদ অনুদান ও ঋণ হিসেবে ব্যবহার করবে। বৈঠকে চীন সর্বাধিক ৯০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাংলাদেশ ১.৫ মিলিয়ন ডলার প্রদানের অঙ্গিকার করে।


সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান শিকদারও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রকল্পটি এলজিআরডি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।


রাষ্ট্রদূত বলেন, আরেকটি প্রকল্প বাংলাদেশ ও ইফাদের মধ্যে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। ১১৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয়সম্বলিত প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বাস্তবায়ন করবে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে এ ব্যাপারে আজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। কারণ এ বিষয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।


তিনি বলেন, শিগগিরই এ প্রকল্পের ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষি খাতে দু’টি বড় প্রকল্পে ইফাদ অর্থায়ন করতে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অতীতে কৃষিখাতে এত বড় প্রকল্প কখনো বাস্তবায়িত হয়নি।


পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এর আগে ইফাদ প্রেসিডেন্ট সংস্থার সদর দফতরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, সাক্ষাৎকালে আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুও উঠে আসে।


শহিদুল হক বলেন, ইফাদ প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে যুক্ত এবং এদেশ সম্পর্কে তার পরিস্কার ধারণা রয়েছে। কারণ তিনি দু’বার বাংলাদেশ সফর করেছেন।


পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ইফাদ প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।


সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।-খবর বাসসের



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: