-2019-08-16-21-14-20.jpeg)
‘বকুলকথা’-য় কয়েকদিনের জন্য দেখা যাবে দাদাকে। ইতিমধ্যেই একটি পর্ব সম্প্রচারিত, পরের পর্বের জন্য টান টান আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন বাংলা টেলভিশনের দর্শক। এই প্রথম টেলিভিশনের কোনও ডেইলি সোপে অভিনয় করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘বকুলকথা’-নায়িকা উষসী রায় জানালেন ঠিক কেমন ছিল দাদা-র সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয় দাদা যে রোজ না হলেও, মাঝে-মধ্যে ‘বকুলকথা’ দেখেন, সেটাও জানা গেল বকুল-অভিনেত্রী ঊষসী রায়ের থেকে।
”দাদা যে কী ভীষণ ভাল কী বলব। আমি তো খুব নার্ভাস ছিলাম যে অত বড় একজন গ্লোবাল পার্সোনালিটি, তাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে হবে। কিন্তু দেখলাম দাদা খুবই মিশুকে মানুষ”, বলে চলেন ঊষসী রায়, ”শট দিতে দিতে কত কিছু জিজ্ঞাসা করলেন। আমি কোথায় থাকি, কোথায় পড়াশোনা করেছি, বাড়ির কথা, সব জানতে চাইলেন। ওই কথা বলতে বলতেই আমার সব নার্ভাসনেস কেটে গেল।”
বকুলকথা ধারাবাহিকে এই মুহূর্তে চলছে এক বিশেষ ট্র্যাক যেখানে স্বভূমিকায় অভিনয় করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দাদা-র অভিনয়ের প্রথম পর্ব সম্প্রচার হয়েছে ১৪ অগস্ট ও দ্বিতীয় পর্বটি রয়েছে ১৫ অগস্ট। দাদাকে এই প্রথম ধারাবাহিকে আসতে দেখে নিঃসন্দেহে দর্শক উচ্ছ্বসিত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এতদিন টেলিভিশনের সম্পর্কটা ছিল পুরোপুরি নন-ফিকশনের। ‘বকুলকথা’ দিয়ে শুরু হল টেলিভিশনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নব্য ফিকশন-যাত্রা।
তবে দাদা-র সঙ্গে ‘বকুলকথা’-নায়িকার কথোপকথন শুটিংয়েই শেষ নয়। জি বাংলা-র সব ধারাবাহিকের ইউনিটই ‘দাদাগিরি’ খেলতে গিয়েছে এক বা ও একাধিকবার। সম্প্রতি ‘বকুলকথা’ টিমও গিয়েছিল দাদাগিরি-র সেটে। আর বলাই বাহুল্য দাদার সঙ্গে সেলফি তোলার অনুরোধ ছিল মুহুর্মুহু। সেই আবদার নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন ঊষসীও।
আরও পড়ুন: সাড়ে ছ’টায় এবার লড়াই সম্পূর্ণা বনাম দিতিপ্রিয়ার
তার পরের গল্পটা শোনা যাক ঊষসীর জবানিতেই– ”আমি তো সেলফি তুলব বলে তাড়াতাড়ি রেডি হয়েছি। সময় কম, তার মধ্যেই টুক করে ভাল সেলফিটা তুলতে হবে। তখনই দাদা সেলফি তুলতে তুলতে বলছিলেন, ‘তোমার অ্যাক্টিং খুব ন্যাচারাল, ভাল লাগে’। আমি সত্যি বলতে কী, যে মুহূর্তটায় কথাগুলো শুনেছি, তখন আমি খুব স্টারস্ট্রাক। মানে এই কথার তাৎপর্যটা অতটাও তখন মাথায় ঢোকেনি। পরে যখন আবার ভাবলাম, এত ভাল লাগল। আমার কাছে এটা বিরাট পাওয়া। দাদা বলেছেন তোমার অভিনয় ভাল লাগে, অর্থাৎ উনি নিশ্চয়ই দেখেছেন, একবার হলেও দেখেছেন। এমন একজন মানুষ, সারা বাংলা যাঁকে মাথায় করে রাখে, তিনি অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও আমার কাজ দেখেছেন, আর ওঁর ভাল লেগেছে, এটা আমার কাছে বিরাট পাওনা।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: