odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 28th October 2025, ২৮th October ২০২৫

অসম্মানের নয় কোনো পেশাই : ড. হাছান মাহমুদ

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৬ November ২০১৯ ২৩:০৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৬ November ২০১৯ ২৩:০৭

 

ঢাকা, ৬ নভেম্বর, ২০১৯ বুধবার  : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কোনো পেশাই অসম্মানের নয়, সব কাজই সম্মানের। সমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোনো কাজকে কোনো পেশাকে অসম্মানিত করে কোনো কিছু বলা কারো উচিত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব মানুষ সম্মানের, সব কাজ সম্মানের।’
হাছান মাহমুদ আজ চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে প্রায় নি:স্ব হয়ে হোটেল বয় হিসেবে কর্মরত চলচ্চিত্র পরিচালক অরণ্য পলাশকে নিজের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তাদানকালে একথা বলেন।
ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ‘গন্তব্য’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে গিয়ে নি:স্বপ্রায় এই চলচ্চিত্র পরিচালককে তথ্যমন্ত্রী নিজের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা দেন।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) মোঃ মিজান-উল-আলম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, অরণ্য পলাশ ও তার নির্মিত চলচ্চিত্রের প্রযোজক এলিনা শাম্মীসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হাছান মাহমুদ নিজেও বিদেশে রেস্তোঁরায় ওয়েটারের কাজ করেছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি নিজে যখন বিদেশে পড়াশুনা করতাম, তখন আমি হোটেল-রেস্তোঁরায় কাজ করতাম। অর্থাৎ আমি নিজেও টি-বয়ের কাজ করতাম, সেখানে টি-বয় বলে না, ওয়েটার বলে।’
তিনি বলেন, ‘এটি বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, আমি সেই কাজ করতাম। একদিন দ’ুদিন নয়, আমি বিদেশে অনেক দিন ছিলাম মাস্টার্স ও ডক্টরেট করার জন্য। সেখানে অনেক দিন কাজ করেছি, মাসের পর মাস।’
ড.হাছান বলেন, ‘অরণ্য পলাশের এই পরিস্থিতি দেখে তিনি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব-সবার সাথে আলোচনা করেছেন কোনোভাবে তাকে সহায়তা করা যায় কিনা।
‘আজকে ব্যক্তিগতভাবে তথ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সহায়তা করার জন্যে ডাকা হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহায়তা করতে হলে একটা প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হয়। আপনারা জানেন, সরকার যে অনুদান দেন, সেটার একটা কমিটি আছে, সেই কমিটির মাধ্যমে অনুদান অনুমোদিত হতে হয়। কমিটির সাথে আমি কথা বলবো, তার এই চলচ্চিত্র যাতে মুক্তি পায়, সেজন্য আরো কি খরচ দরকার, কিছু খরচ তো সে করে ফেলেছে। আর কি সহায়তা দরকার, কমিটির সাথে,সেটি আলোচনা করবো।’
নির্মাতা অরণ্য পলাশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি শুরুতেই বলেছি যে আমি নিজেও রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ করেছি, অর্থাৎ টি-বয়ের কাজ করেছি, সুতরাং আপনার মনে কষ্ট পাওয়ার কোনো কারণ নেই।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: