odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Monday, 10th November 2025, ১০th November ২০২৫

ডেঙ্গু মোকাবেলায় শক্তিশালী স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে : এলজিআরডি মন্ত্রী

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩ April ২০২০ ০৩:৪১

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩ April ২০২০ ০৩:৪১

 

ঢাকা, ২ এপ্রিল, ২০২০ : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মশক নিধন ও ডেঙ্গু মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মশক নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ সংক্রান্ত এক আন্ত: সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ‘এলজিআরডি মন্ত্রীর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জাতীয়/স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের করনীয় নির্ধারণ করে মন্ত্রীর স্বাক্ষরে একটি আধা সরকারি পত্র প্রেরণ করা হবে।’
সম্মিলিত উদ্যোগের অংশ হিসাবে দুই সিটি কর্পোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, বেসরকারী বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একযোগে মশক নিধন অভিযান শুরু করবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিবেন।
সম্ভাব্য ডেঙ্গু মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি ভবন, লেক, পার্ক, খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা কর্তৃপক্ষ কিন্তু মশা মারার কাজ করবে সিটি কর্পোরেশন।
সভায় তিনি দীর্ঘ ছুটির সময় বন্ধ থাকা সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো থেকে এডিস মশার উৎপত্তি যেন না হয় তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ প্রদান করেন।
এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদুল্লাহ খন্দকার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামানসহ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লেকগুলো পরিস্কার করে দিলে আমরা ওষুধ ছিটাবো। তাহলে মশা মরবে। এটাই সময় একসাথে কাজ করার। আমি ১৫ মে দায়িত্ব পাবো, কিন্তু এখন থেকেই কাজ করে যাচ্ছি।
সভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রাখা এবং প্রয়োজনে প্রতিওয়ার্ডে ৮টি সাব কমিটি গঠন করে প্রতি কমিটিতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ২০ (বিশ) জন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে অর্ন্তভূক্ত করে একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করাসহ গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এছাড়াও মশার উৎপত্তিস্থল যেমন শহরের সকল খাল, নালা, দুটি বাড়ী ব্যস্থাপনার মধ্যবর্তীস্থলের অপরিচ্ছনন্ন স্থান, কাঁচা বাজার, সরকারী অফিসসমূহ, সরকারি আবাসিক স্থাপনা জরুরী ভিত্তিতে পরিচ্ছন্ন করতে হবে বলেও সভায় জানানো হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: