ঢাকা | সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
✍️ নিজস্ব প্রতিবেদক
‘আমি হাসপাতালের ফটকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখি, দৌড়ে একটি লোক হাসপাতালের দিকে আসছেন। আর পেছন থেকে দু’জন মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করছেন। প্রথম গুলি হাসপাতালের ওপরের দিকে করেন তারা—যা সরাসরি তিনতলার কাচে গিয়ে লাগে। ছয় থেকে সাতটি গুলি করেন তারা। এরপর এক ব্যক্তির বুকের ডান পাশে গুলি করেন, হাতেও গুলি লাগে।’
এভাবেই রাজধানীর পুরান ঢাকায় সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী আরাফাত হোসেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় তারিক সাইফ মামুনকে (৫৫)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলি চালানো দুই ব্যক্তির মুখে মাস্ক ছিল। তারা লাল-কালো রঙের একটি মোটরসাইকেলেসে এসে গুলি ছোড়া শুরু করেন।
পুলিশ জানায়, নিহত সাইফ মামুনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়। তিনি এস এম ইকবালের ছেলে। একসময় শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন-এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন বলে জানা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাইফ মামুন দৌড়ে হাসপাতালের ফটক দিয়ে প্রবেশ করেন। পেছন থেকে দু’জন ব্যক্তি বন্দুক হাতে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে টানা সাত রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এর মধ্যে অন্তত তিনটি গুলি তার শরীরে লাগে।
হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে সবাই বাইরে এসে দেখেন, এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে অবস্থা অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়, কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: