odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 6th November 2025, ৬th November ২০২৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ সমার্থক : আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৮ March ২০২৩ ০৫:১৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৮ March ২০২৩ ০৫:১৮

ঢাকা, ১৭ মার্চ, ২০২৩  : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ সমার্থক। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। সুতরাং এই দিনটি বাঙালির জন্য উল্লেখযোগ্য দিন। বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো জন্মদিন পালন করতেন না। বাসায় সাধারণভাবে তাঁর জন্মদিন পালন করা হতো। বঙ্গবন্ধু তাঁর জন্মদিনে কেক কাটায় বিরোধী ছিলেন। তাঁর জন্মদিনে একটি মাত্র অনুষ্ঠান করতেন তা হল, তিনি শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। এখান থেকে বুঝতে পারি বঙ্গবন্ধু কতটা শিশুবান্ধব ছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে আজ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয়’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক সিটি এডিটর ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার। ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের কথা চিন্তা করে তাদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছিলেন। যুদ্ধের সময় যারা ভূমিষ্ট হয়েছে তাদেরকে যুদ্ধ শিশু হিসেবে বিবেচনা করেছেন। তাদের জন্য যত ধরনের সুুযোগ সুবিধা দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করেছেন। আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা: মো: শরফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। সেই মহান বিশ্বনেতা তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। সেখানকার সেই ছোট শিশু খোকা। তিনি গরীব দুঃখী মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। একদিনে তিনি নেতা হননি। যে বন্ধুর গায়ে জামা নেই তাকে জামা দিয়েছেন। মুসলিমদের সাথে হিন্দুদের যে বিরোধ তা দূর করার চেষ্টা করেছেন। বাঙালির জন্য তিনি সারাজীবন লড়াই ও সংগ্রাম করে গেছেন। প্রবন্ধে অজিত কুমার সরকার বলেন, ‘জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয় হঠাৎ করে হয়নি। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে একজন নেতার স্বপ্ন ও দূরদর্শী চিন্তা। সেই নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উপলব্দি ও দূরদর্শী চিন্তা থেকে জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের ২৪ বছর আগে বাংলার স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিব। তাঁর মধ্যে বাংলার মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার চিন্তা উদ্ভবের কারণ প্রধানত দুটি, প্রথমত মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি; দ্বিতীয়ত অসম প্রক্রিয়ায় ভারতবর্ষের বিভাজন। এতে আরো উল্লেখ করা হয়, বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতাই ছিল বঙ্গবন্ধুর ধ্যান ও জ্ঞান । এই মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জীবনের ১৩ বছরেরও বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন কারাগারে। ঘুরে বেড়িয়েছেন বাংলার আনাচে-কানাচে। তাঁর নেতৃত্বে ২৩ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৭১ সালের মার্চে এসে সশস্ত্র রূপ লাভ করে। তাঁর স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। নয় মাসের রক্ত¯œাত যুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান এবং দুই লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ তথা বাঙালির জন্য জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। আলোচনা শেষে শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। এর আগে বঙ্গবন্ধু পরিষদ নেতৃবৃন্দ সকাল ১১ টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর ভবনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: