odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 6th November 2025, ৬th November ২০২৫

নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র খুঁজে বের করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ৩ April ২০২৩ ০৫:৪৩

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ৩ April ২০২৩ ০৫:৪৩

প্রধান প্রতিবেদক:

প্রবাসে কাজ করতে গিয়ে কেউ যেন কারও ধোঁকাবাজিতে না পড়ে সে ব্যাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র, নতুন দেশ খুঁজে বের করতে হবে। কোন দেশে কী ধরনের লোকের দরকার আমরা সেই ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।’

আজ রবিবার (২ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে কাজের ব্যবস্থা যেমন আছে। আবার মানুষ প্রবাসেও কাজ করবে। কিন্তু তারা কাজ করতে গিয়ে যেন যথাযথভাবে কর্মসংস্থানটা হয়; কারও ধোঁকাবাজিতে না পড়ে তার জন্য একটা ব্যাপক প্রচার করা দরকার। আমরা সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার করে দিয়েছি। সেই ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমেও কর্মপ্রত্যাশীরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে পারে এবং তারা যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে গেলে, পরে বিপদে পড়ার কথা না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মেয়েরাও যাচ্ছে। তারা ভালোভাবে ট্রেনিং করে যাচ্ছে, তারা ভালো আছে। আর যারা দালালের খপ্পরে পড়ে যাচ্ছে তারাই বিপদে পড়ে যাচ্ছে। তাদেরও আমাদের উদ্ধার করতে হচ্ছে।’ এসব বিষয়ে কিভাবে আরও জনসচেতনতা সৃষ্টি করা যায় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নতুন নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র, নতুন দেশ খুঁজে বের করতে হবে। কোন দেশে কী ধরনের লোকের দরকার। আমরা সেই ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। কারণ আমাদের বহুমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে করে দিয়েছি। আমাদের দূতাবাসকে এটাই বলাই আছে, এখন শুধু বৈদেশিক কূটনীতি শুধু রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটা অর্থনৈতিক কূটনীতি অর্থ্যাৎ ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসি হবে।’

তারা (প্রবাসী শ্রমিক) যদি অবৈধভাবে বা হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠায় তাহলে এ টাকাটা তার পরিবারের কারও না কারও হাতে চলে যায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবার অনেক সময় এটার অপব্যবহারও হয়ে যায়। অনেকেই চলে এসে দেখে একেবারে হাত শূন্য। যত টাকা পাঠিয়েছে সেখান থেকে কিছুই তার অবশিষ্ট নাই। এই যে সমস্যাটায় তাকে ভুগতে হয় সামান্য কয়েকটা টাকা বেশির জন্য। আমরা কিন্তু এখানে বিশেষ প্রণোদনাও দিয়েছি। প্রবাসী আয় পাঠালে পরে সেখানে আমরা প্রায় আড়াই শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে থাকি।’

কাজেই ব্যাংকের মাধ্যমে বা বৈধপথে প্রবাসী আয় পাঠানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নিয়মিত ব্যাংক করে দেওয়া হয়েছে। কাজেই সে ব্যাংকের শাখা যেখানে আছে আর যেখানে শাখা নাই সেখানে এজেন্ট নিয়োগ করে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠালে, সেই টাকা পরিবারের যার যতটুকু দরকার তারা ততটুকুই খরচ করতে পারবে এবং বাকি টাকা সঞ্চয় হিসাবে থাকবে।’ তাই প্রবাসী আয় হুন্ডির মাধ্যমে না পাঠিয়ে বৈধপথে পাঠাতে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্টদের জোর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: