odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 7th November 2025, ৭th November ২০২৫

বগুড়ার শেরপুরর মির্জাপুর-জোড়গাছা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৬ July ২০১৮ ১৩:৩৭

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৬ July ২০১৮ ১৩:৩৭


আব্দুর রাহিম, শেরপুর (বগুড়া)ঃ


শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর-জোড়গাছা রাস্তার বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। বালির ট্রাক ও মাটির ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তাটি একেবারেই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পরেছে। এই রাস্তায় সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সার পাশাপাশি ভ্যানে করেই বেশিরভাগ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। ভুক্তভোগীরা জানান, বৃষ্টির আগে ধুলার কারনে চলাচল করা যায়না, আর বৃষ্টির দিনেতো একেবারেই চলাচল করা দুস্কর। কেননা গর্তগুলোতে পানি জমার কারনে গাড়ির চাকা আটকে গিয়ে উল্টে যাচ্ছে। কেন এই অবস্থা?
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন জানান, এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত গাড়ী মাটি ও বালি নিয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জোড়গাছায় বালিমহলের কারনে ও বিভিন্ন ভাটায় মাটি বিক্রির ফলে রাস্তাটির কার্পেটিং ওঠার পাশাপাশি হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ রাস্তাটি সংস্কার আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এখনই সংস্কার করতে না পারলে বৃষ্টির সময় ওই রাস্তা পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাবে। ৩ দশমিক ৬৪ কিলোমিটারের এই রাস্তাটির অধিকাংশই কার্পেটিং উঠে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে হাজারো লোকজনকে। তাছাড়া যারা রিক্সা ভ্যান চালিয়ে সংসারের ভরণ পোষণকরছে তারা সবচাইতে বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। এলাকাবাসি জানান, রাস্তার বেশিরভাগ অংশেরই কার্পেটিং ওঠে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও সেদিকে কারো খেয়াল নেই। এছাড়া যেটুকু রাস্তা ভাল ছিল তাও আবার গত কয়েকদিনে কার্পেটিং ওঠা শুরু হয়েছে। সুঘাট ইউনিয়নের সদস্য হেলাল উদ্দিন জানান, রাস্তাটি তৈরীর পর থেকেই ভারি যানবাহন বিশেষ করে বালুর ট্রাক ও মাটির ট্রাক চলাচলের কারনে সম্পূর্ন নষ্ট হয়ে গেছে। এ রাস্তদিয়ে চালাচলকারী জোড়গাছা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, মির্জাপুর খাদ্য গুদামের দক্ষিন-পুর্ব পাশহতে জোড়গাছা পর্যন্ত একেবারেই নাজুক। রাস্তাটি এতটাই খারাপ যে কোন গাড়ীই চলাচল সেখানে আর নিরাপদ নয়। এই করুণ পরিনতি হলেও সেদিকে কারো কোন নজর নেই। ওই রাস্তায় উপজেলার সুঘাট ইউনিয়ন, মির্জাপুর ইউনিয়ন ছাড়াও ধুনট ও রায়গঞ্জের অনেক লোকজনের চলাচলের মাধ্যম। বিশেষ করে জোড়গাছা বাঙ্গালী নদীর উপর ব্রীজ নির্মিত হওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে আগের তুলনায় যান বাহন চলাচল অনেক বেশি বেড়েছে। তাই এলাকাবাসীর দাবী জনগুরুত্বপুর্ন এই রাস্তাটির সংস্কার করে নিরাপদ যানচলের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি এই রাস্তায় যেন ওভারলোড অবস্থায় বালু ও মাটির ট্রাক চলতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হোক। মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মন্টু মাষ্টার জানান, গুরুত্বপুর্ন এই রাস্তাটির সংস্কার করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। খুব দ্রতই কাজ শুরু হবে।
সুঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ছাঈদ জানান, আমার ইউনিয়নের মানুষ শেরপুরে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ রাস্তাটি। এ এলাকার মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সহজেই উপজেলা সদরে নিতে পারছিলো। রাস্তা দিয়ে ভ্যান চলাচল করতে না পারায় কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে রাস্তার কাজ খুব দ্রæত শুরু হবে তিনি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: