odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

রাবিতে ‘পোষ্য কোটা’ পুনর্বহালের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ ও শর্তসাপেক্ষ পুনর্বহাল

odhikarpatra | প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:১০

odhikarpatra
প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:১০

রাজশাহী, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি উপ-কমিটির সিদ্ধান্তে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের “পোষ্য কোটা” পুনর্বহাল করা হয়েছে — তবে শর্তসাপেক্ষভাবে। এই সিদ্ধান্তের পর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির মধ্যে বিক্ষোভে নামে। ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।


বিস্তারিত সংবাদ

  • বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য “পোষ্য কোটা” পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখানে কিছু শর্ত যুক্ত থাকবে।
  • উক্ত শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে: বিজ্ঞাপিত যোগ্যতা ও প্রাথমিক আবেদন ফরম পুরণ, মেধাসম্পন্ন তালিকা ভিত্তিতে মূল্যায়ন, বিভাগের আসনসংখ্যার অতিরিক্ত হলে সে বিষয়ে সীমাবদ্ধতা, শিক্ষক-কর্মকর্তার সন্তান শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগের বাইরে ভর্তি হতে পারবে না, কোনো বিভাগের জন্য ডুপ্লিকেট সুবিধা থাকবে না, এবং অনিয়ম হলে শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির মধ্যে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ এসব বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে।
  1. শিক্ষার্থীদের অধিকার বনাম প্রশাসনিক বিধি
    “পোষ্য কোটা” ছিল একটি বিতর্কিত বিষয়, কারণ এটি শিক্ষক-কর্মকর্তার সন্তানের চাহিদা ও সাধারণ শিক্ষার্থীর অধিকার সংক্রান্ত ন্যায়বিচারের প্রশ্ন তোলে। শর্তসাপেক্ষ পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত প্রশাসনিকভাবে একটি মধ্যপন্থী পন্থার অংশ হতে পারে।

  2. বিক্ষোভের প্রতিফলন
    বৃষ্টির মধ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেখায়, বিষয়টি শিক্ষার্থীদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনুভব হচ্ছে, কোটা ব্যবহারে কোনো ভ্রষ্টাচার বা পক্ষপাতিত্ব হলে সেটি ন্যায্যতাবিরোধী হবে।

  3. প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া

    • বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাধারণ শিক্ষার্থীর মনোবল বজায় রাখার দিকে নজর দিতে হবে যাতে কোটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন ধরণের অপশনালেটিভিটি বা পক্ষপাতিত্ব সৃষ্টি না হয়।
    • এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থার পুনর্বাসন ঘটাতে পারে যদি শর্তাবলী পরিষ্কারভাবে পালন করা হয়।
    • সামাজিক নিয়ম ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নজরদারি ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া থাকলে বিষয়টি দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষাব্যবস্থার সুফলবাহী হতে পারে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: