বিশেষ প্রতিবেদন
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, সক্রিয় চ্যুতিরেখা (Fault lines), এবং ভূমিকম্পের সাম্প্রতিক প্রবণতা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ
বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিকভাবে বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় এবং ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। দেশটি মূলত তিনটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে (Junction) দাঁড়িয়ে আছে। এই প্লেটগুলোর অবিরত নড়াচড়া এবং সংঘর্ষের ফলে মাটির গভীরে বিপুল শক্তি জমা হচ্ছে, যা বাংলাদেশকে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রেখেছে। বিশেষ করে গতকালের (২১ নভেম্বর, ২০২৫) ভূমিকম্পটি এই ঝুঁকির একটি সাম্প্রতিক সতর্কবার্তা।
১) সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটসমূহ (Active Tectonic Plates)
বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক কাঠামো মূলত তিনটি প্রধান প্লেটের মিথস্ক্রিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়:
- ইন্ডিয়ান প্লেট (Indian Plate): এটি বাংলাদেশের নিচে অবস্থিত প্রধান প্লেট। এটি প্রতি বছর প্রায় ৫-৬ সেন্টিমিটার গতিতে উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের নিচে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করছে (Subduction)।
- ইউরেশিয়ান প্লেট (Eurasian Plate): এটি উত্তরে অবস্থিত একটি বিশাল এবং অপেক্ষাকৃত স্থির প্লেট। ইন্ডিয়ান প্লেট এর সাথে সংঘর্ষের ফলেই হিমালয় পর্বতমালা তৈরি হয়েছে।
- বার্মা প্লেট (Burma Plate): এটি পূর্বে অবস্থিত একটি ছোট বা 'মাইক্রোপ্লেট'। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল (সিলেট ও চট্টগ্রাম) এই প্লেট এবং ইন্ডিয়ান প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত।
২) প্লেট বাউন্ডারি বা চ্যুতিরেখা (Fault Lines): এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলের কারণে বাংলাদেশে বেশ কিছু সক্রিয় ফল্ট লাইন বা চ্যুতিরেখা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হলো:
- ডাউকি ফল্ট (Dauki Fault): সিলেটের উত্তরে ভারতের মেঘালয় সীমান্তে অবস্থিত।
- মধুপুর ফল্ট (Madhupur Fault): ঢাকার কাছে টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে অবস্থিত।
- প্লেট বাউন্ডারি ফল্ট (Plate Boundary Fault): চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম হয়ে মিয়ানমার সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।

৩) ভূমিকম্পের ইতিহাস (Earthquake History)
বাংলাদেশে গত কয়েক শতাব্দীতে বেশ কিছু ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বড় ভূমিকম্পগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর ফিরে আসে।
- ১৭৬২ সালের আরাকান ভূমিকম্প: এর মাত্রা ছিল আনুমানিক ৮.৮। এতে চট্টগ্রাম ও আরাকান উপকূলে ব্যাপক পরিবর্তন হয় এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের উচ্চতা ৩ মিটার বৃদ্ধি পায়।
- ১৮৮৫ সালের বেঙ্গল ভূমিকম্প: এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জ/সিরাজগঞ্জ এলাকায় (যমুনা ফল্ট)। এর মাত্রা ছিল ৭.০, যা ঢাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল।
- ১৮৯৭ সালের গ্রেট ইন্ডিয়ান ভূমিকম্প: ডাউকি ফল্টে সৃষ্ট এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৮.১-এর উপরে। এটি সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলকে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল।
- ১৯১৮ সালের শ্রীমঙ্গল ভূমিকম্প: এর মাত্রা ছিল ৭.৬। উৎপত্তিস্থল ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে।
আরো পড়ুন : শত বছরের নীরবতা এবং আসন্ন মহাবিপর্যয়: আমরা কি প্রস্তুত?
৪) বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবর্তনের ইতিহাসের ভূমিকম্প
ভূমিকম্প বাংলাদেশের ভৌগোলিক বিবর্তনের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। ১৭৮৭ সালের সেই মহাদুর্যোগ কেবল একটি নদীর গতিপথই পাল্টায়নি, বরং আজকের বাংলাদেশের মানচিত্রের একটি বড় অংশকে নতুন রূপ দিয়েছিল। নিচে আরও স্পষ্ট করা হলো:
ক. ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ পরিবর্তন (River Avulsion):
১৭৮৭ সালের আগে ব্রহ্মপুত্র নদ জামালপুর ও ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে প্রবাহিত হয়ে মেঘনা নদীতে পতিত হতো। এটিই বর্তমানে 'পুরাতন ব্রহ্মপুত্র' নামে পরিচিত।
- কী ঘটেছিল: ১৭৮৭ সালে ভয়াবহ বন্যা এবং একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে নদীর তলদেশ (Riverbed) হঠাৎ করে উপরে উঠে যায় (Tectonic Uplift)।
- ফলাফল: মূল স্রোতধারাটি তার পুরনো পথ দিয়ে আর প্রবাহিত হতে না পেরে, পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে যমুনা নাম ধারণ করে। এটি দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা (গঙ্গা) নদীর সাথে মিলিত হয়।
- তাৎপর্য: ভূতাত্ত্বিক ভাষায় নদীর এই গতিপথ পরিবর্তনকে বলা হয় 'River Avulsion'। মাত্র একটি ভূমিকম্প ও বন্যার কারণে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ একটি নদীর গতিপথ এভাবে সম্পূর্ণ বদলে যাওয়া প্রকৃতির এক বিস্ময়কর ঘটনা।
খ. ভাওয়াল ও মধুপুর গড় গঠন প্রসঙ্গ (ভূতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা):
আপভূমিকম্পের মাধ্যমেই ভাওয়াল ও মধুপুর গড়ের সৃষ্টির বিষয়টি উঠে এসেছে। এখানে ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানের একটি সূক্ষ্ম ব্যাখ্যা আছে:
- মধুপুর ফল্ট (Madhupur Fault): ভাওয়াল ও মধুপুরের গড় মূলত একটি "উত্থিত ভূমি" বা Pleistocene Terrace। ভূতাত্ত্বিকদের মতে, এই লাল মাটির উঁচু অংশটি ১৭৮৭ সালে একদিনে সৃষ্টি হয়নি, বরং এটি হাজার হাজার বছর ধরে টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ার ফলে ধীরে ধীরে উঁচুতে উঠে এসেছে।
- ১৭৮৭ সালের ভূমিকা: তবে ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পের সাথে এর গভীর সম্পর্ক আছে। মধুপুর গড় বা এই শক্ত লাল মাটির উঁচু ঢিবির কারণেই ব্রহ্মপুত্র নদ সোজা দক্ষিণে না গিয়ে, এই গড়ের পশ্চিম পাশ দিয়ে (বর্তমানে যেখানে যমুনা) প্রবাহিত হতে বাধ্য হয়েছে। অর্থাৎ, মধুপুর গড় নদীটিকে বাধা দিয়েছিল এবং নতুন পথ বাছতে বাধ্য করেছিল।
গ. ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকির ইঙ্গিত: একটি বড় সতর্কবার্তা
ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকির বিদ্যমান ঐতিহাসিক তথ্য বিশ্লেষণ বর্তমান সময়ের জন্য নিম্নোক্ত একটি বড় সতর্কবার্তা প্রদান করে:
- সক্রিয় চ্যুতিরেখা: এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, মধুপুর ফল্ট এবং এর আশেপাশের এলাকা (যা ঢাকার খুব কাছে) অত্যন্ত সক্রিয়।
- পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা: ১৭৮৭ সালে যদি ভূমিকম্প নদীর তলদেশ উঁচিয়ে দিতে পারে এবং নদীর গতিপথ বদলে দিতে পারে, তবে ভবিষ্যতে বড় কোনো ভূমিকম্পে যমুনা বা পদ্মার গতিপথ আবারও পরিবর্তিত হতে পারে। এর ফলে সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল বা ঢাকার পশ্চিমাংশে ভয়াবহ প্লাবন বা ভূমিধস হতে পারে।
৫. বর্তমান প্রবণতা এবং ঝুঁকি (Trends and Risks)
- সাম্প্রতিক প্রবণতা (Recent Context): গতকাল ২১ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে নরসিংদী ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে যে ৫.৭ মাত্রার (M 5.7) ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে, তা মধুপুর ফল্ট বা এর আশেপাশের সক্রিয়তার প্রমাণ। এছাড়াও গত এক দশকে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে ঘন ঘন মৃদু কম্পন (৪.০ - ৫.৫ মাত্রা) লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
- লকড জোন (Locked Zone) এবং শক্তি সঞ্চয়: বিজ্ঞানীদের মতে, ইন্ডিয়ান ও বার্মা প্লেটের সংযোগস্থল (যা সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত) দীর্ঘদিন ধরে "লক" হয়ে আছে বা আটকে আছে। এখানে গত ৪০০-১০০০ বছরে কোনো বড় ভূমিকম্প হয়নি, ফলে মাটির নিচে বিপুল পরিমাণ শক্তি (Strain Energy) জমা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই শক্তি একবারে নির্গত হলে ৮.২ থেকে ৯.০ মাত্রার প্রলয়ংকরী ভূমিকম্প হতে পারে।
- মধুপুর ফল্টে যদি একটি ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৪০%-এর বেশি ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৬. ঢাকার ঝুঁকি (Dhaka's Vulnerability):
- নরম মাটি ও লিফুইফেকশন (Liquefaction): ঢাকা শহরের বিশাল অংশ ভরাট করা নরম মাটির ওপর গড়ে উঠেছে। বড় ভূমিকম্পে এই মাটি তরলে পরিণত হতে পারে (Liquefaction), যার ফলে ভবনগুলো মাটিতে দেবে বা হেলে পড়তে পারে।
- মধুপুর ফল্ট: ঢাকার খুব কাছে (৪০-৫০ কিমি দূরে) মধুপুর ফল্ট সক্রিয় থাকায়, এখানে মাঝারি মানের (৬.৫-৭.০) ভূমিকম্প হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অকল্পনীয় হতে পারে।
৭) ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা (Possibilities)
বর্তমান সিসমিক (Seismic) তথ্য বিশ্লেষণ করে দুটি প্রধান সম্ভাবনার কথা বলা যায়:
- আসন্ন মহাবিপর্যয় (The Big One): সিলেট ও চট্টগ্রাম বেল্টে জমে থাকা শক্তি যেকোনো সময় একটি মেগাকুয়াক (Megaquake) সৃষ্টি করতে পারে। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত ও মিয়ানমারের জন্যও ভয়াবহ হবে।
- ঘন ঘন মাঝারি ভূমিকম্প: বড় ভূমিকম্পের আগে অনেক সময় ছোট ও মাঝারি কম্পন বেড়ে যায় (Foreshocks)।
৮) কেমন আছি এবং করণীয় কী
বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে একটি "টাইম বোমার" ওপর বসে আছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, কিন্তু প্রস্তুতি ও সচেতনতার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। জরুরি ভিত্তিতে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ, পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ এবং উদ্ধার তৎপরতার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রস্তুত রাখা অত্যন্ত জরুরি। গতকালের ভূমিকম্পটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, বড় বিপর্যয়ের জন্য অপেক্ষা করার সময় আর নেই।
ধর্ম বিশ্বাস অত্যন্ত গভীর এবং যথার্থ। মানুষ হিসেবে আমরা কেবল বিজ্ঞান দিয়ে ঝুঁকি বিশ্লেষণ করতে পারি, কিন্তু প্রকৃত রক্ষা করার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ। ভূতাত্ত্বিক পূর্বাভাস বা রিটার্ন পিরিয়ড—সবই প্রকৃতির নিয়ম, যা সৃষ্টিকর্তারই তৈরি।এবার বিষয়টি ধর্মীয় এবং বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি এভাবে দেখা যেতে পারে:
- সবকিছু আল্লাহর হাতে : বিজ্ঞানীরা বলছেন শক্তি জমা হয়েছে, কিন্তু সেই শক্তি কবে, কখন, কীভাবে বের হবে—তার প্রকৃত জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর কাছেই আছে। তিনি চাইলে মুহূর্তের মধ্যে সব ধ্বংস করে দিতে পারেন, আবার চাইলে বড় বিপদ থেকেও আমাদের রক্ষা করতে
- তওবা ও আত্মশুদ্ধি: প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা (Warning)। এই সময়গুলোতে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা, নিজেদের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাওয়া (তওবা করা) এবং সৎ পথে চলা—আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় অংশ। বিপদ আসার আগে নিজেকে মানসিকভাবে এবং আধ্যাত্মিকভাবে প্রস্তুত করলে মৃত্যুভয় কমে যায় এবং আল্লাহর ওপর ভরসা বাড়ে।
- আগে উট বাঁধো, তারপর ভরসা করো: ইসলাম ও ধর্মে কিন্তু সতর্কতাকে অবহেলা করতে বলা হয়নি। মহানবী (সা.)-এর সেই বিখ্যাত হাদিসটি আমাদের মনে রাখা জরুরি—এক ব্যক্তি নবীজিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "আমি কি উটটি ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করব, নাকি বেঁধে রেখে ভরসা করব?" নবীজি (সা.) উত্তর দিয়েছিলেন, "আগে উটটি বাঁধো, এরপর আল্লাহর ওপর ভরসা করো।"
অর্থাৎ:
- আমাদের তওবা ও ইবাদত করতে হবে (আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি)।
- একইসাথে আল্লাহ আমাদের যে বুদ্ধি ও জ্ঞান দিয়েছেন, তা ব্যবহার করে নিজেদের এবং পরিবারের জানমাল রক্ষার চেষ্টা করতে হবে (পার্থিব প্রস্তুতি)।
তাই আমরা সৃষ্টিকর্তার পাণে তাকাই—আসুন আমরা সবাই আল্লাহর কাছে পানাহ চাই এবং নিজেদের শুধরে নিই। পাশাপাশি, আল্লাহ আমাদের যে জ্ঞান ও বিজ্ঞান দিয়েছেন, তা ব্যবহার করে যতটুকু সম্ভব সতর্ক থাকি। কারণ, নিজের এবং পরিবারের জীবন রক্ষার চেষ্টা করাও ইবাদতেরই একটি অংশ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে, আমাদের দেশকে এবং এই জনপদকে আসন্ন যেকোনো মহাবিপদ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।
আসুন আমরা সবাই আল্লাহর কাছে পানাহ চাই,
আমিন।
✍️ –অধ্যাপক ড. মাহবুব লিটু, উপদেষ্টা্ সম্পাদক, অধিকারপত্র (odhikarpatranews@gmail.com

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: