odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 6th November 2025, ৬th November ২০২৫
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে

স্বাস্থ্য খাতে একটি নক্ষত্রের পতন:অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ

আহসানুল ইসলাম আমিন | প্রকাশিত: ১২ April ২০২৩ ০৭:৫০

আহসানুল ইসলাম আমিন
প্রকাশিত: ১২ April ২০২৩ ০৭:৫০

প্রধান প্রতিবেদক:

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে স্বাস্থ্য খাতে একটি নক্ষত্রের পতন হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক, ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় সবসময় উদার ছিলেন। দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতির জন্য তিনি সব সময় ভাবতেন এবং চেষ্টা করতেন।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা পোস্টকে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য সবসময় তার চিন্তা ছিল। শুধু স্বাস্থ্যখাতের কথা চিন্তা করলেই তার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। তিনি গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল করেছেন, মেডিকেল কলেজ করেছেন, মানুষকে স্বল্পমূল্যে ওষুধ দেওয়ার জন্য তিনি ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানিও তৈরি করেছেন। এছাড়াও শিক্ষায় অবদান স্বরূপ তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন।

তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ শুধু সাহসীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন আপোষহীন। করোনার সময়ে তিনি তিনি ওষুধপত্রের দাম নিয়ে কথা বলেছেন, সুযোগসন্ধানীরা যেন সুযোগ নিতে না পারে এ বিষয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। মানুষ যেন স্বল্পমূল্যে করোনা পরীক্ষা করতে পারে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তিনি কিট তৈরির ব্যবস্থা করেছিলেন। তার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনা আক্রান্ত রোগীদের নামমাত্র মূল্যে পরীক্ষা ও চিকিৎসা করেছেন।

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের ড্রাগ পলিসির সঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিলেন। সব সময় তার চিন্তা-চেতনায় ছিল সাধারণ মানুষ যেন স্বল্পমূল্যে সঠিক চিকিৎসাটা পায়।

অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ আরও বলেন, তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল তিনি কখনো কারো কাছ থেকে কাজের মূল্যায়ন প্রত্যাশা করতেন না। একজন গুণী ব্যক্তি হিসেবে আমরা তাকে কতটুকু মূল্যায়ন করতে পেরেছি জানি না। তবে এটা অন্তত বলতে পারি, সাধারণ মানুষ তাকে আজীবন মনে রাখবে।

ডা. জাফরুল্লাহর জন্য সমাজের কাছে প্রত্যাশা প্রসঙ্গে এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের একটাই চাওয়া, ডা. জাফরুল্লাহর স্বপ্নগুলো যেন বাস্তবায়িত হয়। যে প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করেছেন সেগুলো যেন টিকে থাকে। এই দায়িত্বগুলো যদি আমরা যথাযথভাবে পালন করতে পারি তাহলেও তার প্রতি সম্মান দেখানো হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: