অধিকার পত্র রাজনীতি ডেস্ক | প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন দলের দাবির মুখে নির্বাচন ঘিরে এক ধরণের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বেড়তলা মাঠে আয়োজিত এক জনসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন নিয়ে কেন শঙ্কা?
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই একটি ভয়ভীতির জায়গা তৈরি হয়েছে। কারণ বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে সামনে আসছে।”
তিনি বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বলেন, “কেউ কেউ বলছে নিম্নকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) সিস্টেম না হলে নির্বাচন করবে না। আবার কেউ বলছে নির্বাচনের আগে গণভোট না হলে তারা নির্বাচনে যাবে না। এমনকি জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও দাবি উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন ঘিরে মানুষের মনে অনিশ্চয়তা থাকাটাই স্বাভাবিক।”
‘ক্ষমতার সুবিধা কেউ ছাড়তে চায় না’
অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের প্রতি ইঙ্গিত করে রুমিন ফারহানা বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর সরকারে না থেকেও যারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, তাদের অনেকেই সেই সুযোগ-সুবিধা ছাড়তে রাজি নন। তাই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।”
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপি এখনো কোনো একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। এ অবস্থায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৌশলী উত্তর দেন এই বিএনপি নেত্রী।
তিনি বলেন, “বিগত ১৭ বছর আমি মজলুম ও নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি। সব সময় দল ও দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। তাই তাদের সিদ্ধান্তই হবে আমার সিদ্ধান্ত। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যা চাইবেন, তার ওপরই নির্ভর করবে আমার রাজনীতি কোন পথে যাবে।”
জনসভার প্রেক্ষাপট
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পানিশ্বর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন এই জনসভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সামসুজ্জামানের। জনসভায় স্থানীয় হাজারো নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: